Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৯ মঙ্গলবার, জুলাই ২০২৫ | ১৪ শ্রাবণ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

গাড়িতে লেখিকাকে ধর্ষণ, জাপা নেতার ‍বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৯ জুলাই ২০১৯, ০৪:৩২ PM
আপডেট: ২৯ জুলাই ২০১৯, ০৪:৩২ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রেসিডিয়াম সদস্য আলমগীর সিকদার লোটনের (৫৩) বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন ট্রাইব্যুনাল।

রবিবার (২৮ জুলাই) ঢাকার ১ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবু নাসের মো. জাহাঙ্গীর আলম এ পরোয়ানা জারি করেছেন। তবে গ্রেফতারি পরোয়ানার বিষয়টি আজ সোমবার জানা গেছে।

এর আগে নিজেকে লেখিকা পরিচয়দানকারী ৩২ বছর বয়সী এক নারী গত ১১ জুলাই একই ট্রাইব্যুনালে এ মামলা করেন। ওই দিন ট্রাইব্যুনাল বাদীর জবানবন্দির পর অভিযোগের বিষয়ে ঢাকা সিএমএম আদালতকে বিচার বিভাগীয় তদন্তের আদেশ দেন।

ট্রাইব্যুনালের আদেশ অনুযায়ী ঢাকা মহানগর হাকিম বেগম ইয়াসমিন আরা বিচার বিভাগীয় তদন্তে অভিযোগ প্রদানকারী ব্যক্তিসহ ৩ জনের জবানবন্দি গ্রহণ করেন।

তাদের জবানবন্দিতে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে মর্মে হাকিম ইয়াসমিন আরা ট্রাইব্যুনালে প্রতিবেদন দাখিল করেন। যা গতকাল সোমবার ট্রাইব্যুনাল আমলে নিয়ে আসামি লোটনের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামি লোটন সিকদার এন্ড পাবলিকেশন ও আকাশ পাবলিকেশনের মালিক। অন্যদিকে বাদিনী একজন লেখিকা হওয়ায় আসামির সঙ্গে পরিচয় হয়। বাদিনী ‘সংগঠক ও সংগঠন’ রাজনৈতিক বইটি লিখতে আসামির লোটনের সঙ্গে সহকারী লেখিকা হিসেবে কাজ করেন।

পরবর্তী সময়ে আসামির প্রতিষ্ঠান ‘আকাশ পাবলিকেশন’ থেকে প্রকাশিত ‘সময়ের আয়নায় পল্লীবন্ধু’ ছবি অ্যালবামের নির্দেশনা ও অঙ্গসজ্জা হিসেবেও বাদিনী কাজ করেন। সেই সময় ওই কাজের জন্য বাদিনী আসামির সঙ্গে দেখা করতেন। তখন আসামি বাদিনীকে পেলেই বিভিন্ন যৌন হয়রানিমূলক কথাবার্তা বলতেন। তবে আসামি বাবার বয়সী ভেবে বাদিনী বিষয়টি এড়িয়ে যেতেন।

এছাড়া আসামি বিভিন্ন সময় ফোনে ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ম্যাসেঞ্জারে বাদিনীর কাছে নোংরা ছবি পাঠাতেন এবং ভিডিও কলে নোংরা প্রস্তাব দিতেন। তবে বাদিনী কঠোরভাবে প্রতিবাদ করতে পারতেন না। কারণ, তাকে কাজের জন্য আসামির কাছে যেতে হতো।

মামলায় বলা হয়, চলতি বছর ১ জানুয়ারি আসামির জন্মদিন হওয়ায় আসামির অনুরোধে সে রাজধানীর কোতয়ালী থানাধীন বিউটি বোর্ডিংয়ে আসেন। সেখানে জন্মদিনের কেক কাটার পর আসামি বাদিনীকে বাসায় পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে গাড়িতে তোলেন।

তবে রাস্তায় চালক ও তার সহযোগীদের গাড়ি থেকে নামিয়ে দিয়ে ঘুরতে ঘুরতে রাজধানীর মোহাম্মাদপুর এলাকার একটি নিরিবিলি স্থানে গাড়ি থামিয়ে দেন।

পরে রাত ৯টার দিকে গাড়িতেই বাদিনীকে ধর্ষণ করেন। এ সময় মোবাইল ফোনে কিছু নোংরা ছবি ও ভিডিও ধারণ করেন আলমগীর সিকদার লোটন।

এরপর বাসায় পৌঁছে দেওয়ায় সময় হুমকি দেন, বিষয়টি কাউকে জানালে ছবি ও ভিডিও ফেসবুকে ছেড়ে দেবেন। আসামির কাছে নোংরা ছবি ও ভিডিও থাকায় সে বাদিনীকে ব্ল্যাকমেইল করে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। সর্বশেষ আসামি বাদিনীকে বিয়ে করবে বলে ডেকে এনে গত ৩০ জুন আবারও ধর্ষণ করেন।

Bootstrap Image Preview