ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ২৩টি ও দক্ষিণের ৩৭টি ওয়ার্ড ডেঙ্গুর মারাত্মক ঝুঁকিতে রয়েছে বলে উঠে এসেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জরিপে। চলতি বর্ষা মৌসুমে করা রিপোর্টে এই ভয়াবহ চিত্র উঠে এসেছে যা বর্ষার আগে করা জরিপের চেয়ে কয়েকদিন বেশি। মশা নিধনে অবৈজ্ঞানিক পদ্ধতির প্রয়োগই এমন অবস্থার জন্য দায়ী বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। যার ভয়াবহ প্রভাবের আশঙ্কা করছেন তারা।
রাজধানীতে মশার ঘনত্ব নির্ণয়ে ১৮ থেকে ২৭ জুলাই বর্ষা মৌসুমের জরিপ করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। মোট ১২টি টিম উত্তরের ৪০টি ও দক্ষিণের ৫৮টি ওয়ার্ডের উপর এই জরিপ পরিচালনা করে। বর্ষার আগে করা জরিপে এই তালিকায় সাতটি ওয়ার্ড থাকলেও এবারে উত্তরে তা তিনগুণ যার মধ্যে ১৮, ১৯, ২১, ২৩ ও ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের অবস্থা ভয়াবহ। অন্যদিকে বর্ষার আগের জরিপে দক্ষিণের ১৫টি ওয়ার্ড ঝুঁকিপূর্ণ থাকলেও এবারের এই তালিকায় রয়েছে ৩৭ টি ওয়ার্ড। এগারোটি ওয়ার্ডে মশার ঘনত্ব শূন্য।
জরিপে উঠে আসে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ৫৮.৫৩ শতাংশ এবং দক্ষিণের ৬২.৭২ শতাংশ এলাকাতেই মশার ঘনত্ব অস্বাভাবিক হারে বেশি
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মশক নিধনে সিটি কর্পোরেশনের খামখেয়ালীপনাতেই ঘটছে এমনটা। আর এ জন্য সাধারণ মানুষকে চরম মূল্য দিতে হবে বলেও মনে করেন তারা।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. বেনজির আহমেদ বলেন, আমরা যে পদক্ষেপ নিচ্ছি তা কার্যকরী হলে ডেঙ্গু এই পরিস্থিতিতে আসতো না। কাজেই বোঝা যাচ্ছে এ নিয়ে উদ্যোগ সমন্বিত না। নিজেদের সীমাবদ্ধতার কথা স্বীকার করে সিটি কর্পোরেশনের সেই গতানুগতিক আশ্বাস।
ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মমেনুর রহমান মামুন বলেন, আমরা যে পদক্ষেপগুলো নিচ্ছি সেগুলো বাদে আরও কি করার আছে তা নিয়ে আমরা চিন্তা করছি।
সব রেকর্ড ছাপিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে রোগী ভর্তির সংখ্যা ১১ হাজার ছাড়িয়েছে।