Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৯ মঙ্গলবার, জুলাই ২০২৫ | ১৪ শ্রাবণ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত না যেতে উস্কানি দেওয়া হচ্ছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৯ জুলাই ২০১৯, ১০:৪০ AM
আপডেট: ২৯ জুলাই ২০১৯, ১০:৪০ AM

bdmorning Image Preview


পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত না যেতে বিভিন্ন মহল থেকে উসকানি দিচ্ছে।

রবিবার (২৮ জুলাই) একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ সব কথা বলেন।

তিনি বলেছেন, ৯০-৯২ সালে ২ লাখ ৫৫ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে এসেছিল। এর বেশিরভাগই চলে গেছে। কিন্তু এবার রোহিঙ্গা ক্যাম্প করার কারণে অনেক সংস্থা কাজ করছে। রোহিঙ্গারা বছরের পর বছর এখানে থাকলে তাদের চাকরি বহাল থাকবে। এর মধ্যে স্বার্থান্বেষী গ্রুপও কাজ করছে। আরেকটি গ্রুপ আছে, যারা রোহিঙ্গাদের বেশিদিন রেখে বাংলাদেশে অনিশ্চয়তার সৃষ্টি করতে চায়। এরা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করতে চায়।

'বাংলাদেশে রোহিঙ্গা সংকট: চ্যালেঞ্জ এবং টেকসই সমাধান’ শীর্ষক দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আয়োজন করে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়।

বিশ্ববিদ্যালয়টির ভিসি অধ্যাপক আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান বেনজির আহমেদ, জাতিসংঘের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক প্রতিনিধি সখো ইশিকাওয়া, ইউএনএইচসিআরের সহকারী আঞ্চলিক প্রতিনিধি এলিস্টার বোল্টন।

রোহিঙ্গাদের অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতার জন্য ভাসানচরে যেতে বলা হয়েছিল এমন কথা জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সেখানে তারা মাছ ধরা, হাঁস-মুরগি ও গরু-পালন করতে পারত। কিন্তু তারা সেখানে যেতে রাজি নয়। এখন সরকার তিনবেলা খাওয়াচ্ছে। আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সহায়তা কমে আসছে। পরবর্তীকালে কী হবে সেটা বলা মুশকিল।

প্রিয়া সাহার ব্যাপারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তিনি (প্রিয়া সাহা) যদি যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়ে থাকেন, তাহলে সে জন্যই ওইসব কথা সেখানে বলেছেন। এস কে সিনহার বিষয়ে তিনি বলেন, আইন মন্ত্রণালয় বিষয়টি দেখভাল করছে, তারাই ভালো বলতে পারবে।

প্রসঙ্গত, রোহিঙ্গাবিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে ২০টি দেশ থেকে মোট ১৭৫টি একাডেমিক পেপার উপস্থাপন করা হয়। শান্তি প্রতিষ্ঠা ও বিরোধ নিষ্পত্তি, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা, বাধ্যতামূলক নির্বাসন ও মানবাধিকার, অর্থনৈতিক প্রভাব, শারীরিক ও মানসিক সমস্যাসহ মোট ১১টি প্রতিপাদ্য বিষয়ে একাডেমিক পেপারগুলো উপস্থাপন করা হয়।

Bootstrap Image Preview