Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৫ বৃহস্পতিবার, মে ২০২৫ | ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

মোদিকে পাত্তাই দিচ্ছেন না ট্রাম্প!

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৮ জুলাই ২০১৯, ০২:০৫ PM
আপডেট: ২৮ জুলাই ২০১৯, ০২:০৫ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


সম্প্রতি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান যুক্তরাষ্ট্র সফর করেছেন। তারপরই পাকিস্তানকে এফ-সিক্সটিন যুদ্ধবিমান প্রযুক্তি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এমন অবস্থায় মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকের সময় চেয়েও পাচ্ছেন না ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। 

পশ্চিমবঙ্গের প্রভাবশালী দৈনিক আনন্দবাজার জানিয়েছে, আগস্টে ফ্রান্সে জি-সেভেন রাষ্ট্রগুলির ‘আউটরিচ সেশন’ এ আমন্ত্রিত হয়েছে ভারত। সেখানে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পরের মাসে নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ সম্মেলনে যোগ দেবেন মোদি।

এই দুটি সম্মেলনেই উপস্থিত থাকবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ভারতের তরফ থেকে এই দুই সম্মেলনে ট্রাম্পের সঙ্গে মোদির বৈঠকের চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু সাড়া মেলেনি মার্কিন মিত্রের কাছ থেকে।

সূত্রের বরাত দিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, জি-সেভেন সম্মেলনে পার্শ্ববৈঠকের জন্য সময় চেয়েও ট্রাম্প প্রশাসনের কাছ থেকে কোনো পর্যন্ত ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যায়নি। জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের ফাঁকেও মোদি-ট্রাম্প বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ।

সাম্প্রতিক কিছু ঘটনায় দিল্লির কূটনীতিকদের একাংশে আপাতত এই ধারণা তৈরি হয়েছে যে, আফগানিস্তানে শান্তি প্রক্রিয়ায় গতি আনতে গিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পাক-নির্ভরতা বাড়ছে এবং তাতে মার্কিন মিত্রের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়ছে নয়াদিল্লি।

কূটনীতি বিশেষজ্ঞদের অনেকে এও মনে করছেন, অদূর ভবিষ্যতে ভারত-মার্কিন সম্পর্কে যেটুকু অগ্রগতি হলেও হতে পারে, সেটা বাণিজ্য ক্ষেত্রে। কিন্তু কৌশলগত বিষয়ে আমেরিকাকে কতটা পাশে পাওয়া যাবে, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।

ওভাল অফিসে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে ট্রাম্পের সাম্প্রতিক বৈঠকের পরে নতুন এই আন্তর্জাতিক সমীকরণের আঁচ মিলছে বলে মনে করছেন ভারতের কূটনীতি বিশেষজ্ঞরা।

চলতি বছরেই আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করে আগামী বছর সেখানে ভোট করানোর জন্য চেষ্টা করছেন ট্রাম্প। এই অবস্থায় ভূকৌশলগত কারণেই কাবুলে শান্তি প্রক্রিয়াকে দ্রুত এগিয়ে নিতে এবং তালেবান জঙ্গিদের সঙ্গে কথা বলে তাদের প্রশমিত করতে পাকিস্তানের উপর নির্ভরতা বেড়েছে ট্রাম্পের। ইমরানের সঙ্গে বৈঠকে ট্রাম্প সে কথা বুঝিয়েও দিয়েছেন স্পষ্ট ভাষায়। ইমরানকে পাশে বসিয়ে জানিয়েছেন তার ইসলামাবাদ-নির্ভরতার কথা।

এছাড়া কাশ্মীর নিয়ে মধ্যস্থতার কথায় মোদির নাম জড়িয়ে ভারতকে চাপে ফেলেছেন তিনি। ইমরান ট্রাম্পকে বলেছেন, আফগানিস্তানের সঙ্গে আমেরিকার যুদ্ধে বহু পাকিস্তানি নিহত হয়েছেন। ৯/১১ এর হামলায় এক জনও পাকিস্তানি যুক্ত না-থাকা সত্ত্বেও বিনা অপরাধে গুরুদণ্ডের মতো আমেরিকা ইসলামাবাদের আর্থিক অনুদান বন্ধ করে দিয়েছে।

মার্কিন অর্থসাহায্য সন্ত্রাসবাদের কাজে লাগাচ্ছে ইসলামাবাদ- এক বছর আগে এই মর্মেই গলা ফাটিয়েছিল ট্রাম্প প্রশাসন। কিন্তু ইমরানের ওই সাম্প্রতিক আবেদনের পরই লক্ষ্যণীয় পরিবর্তনে ঘটেছে। হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়েছে, পাকিস্তানের এফ-সিক্সটিন যুদ্ধবিমান প্রকল্পকে সহায়তা করার জন্য ১ হাজার ২৫০ লক্ষ ডলার দেওয়া হবে। হোয়াইট হাউসের এমন সিদ্ধান্ত ভারতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে।

Bootstrap Image Preview