Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ৩০ বুধবার, জুলাই ২০২৫ | ১৫ শ্রাবণ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

পানি কমছে, দুর্ভোগ কমেনি

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৮ জুলাই ২০১৯, ১১:০৪ AM
আপডেট: ২৮ জুলাই ২০১৯, ১১:০৪ AM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


গাইবান্ধায় ব্রহ্মপুত্র ও ঘাঘট নদীতে পানি কমতে শুরু করায় সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। গাইবান্ধায় বন্যা কবলিত এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা-ঘাটের কারণে জনদুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। 

বসতবাড়ি থেকে এখনও পানি সরে না যাওয়ায় গাইবান্ধা পৌর এলাকাসহ জেলার বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে থাকা মানুষগুলো ঘরে ফিরতে পারছে না। দীর্ঘদিন ধরে তারা বাঁধসহ বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে বসবাস করে মানবেতর জীবন যাপন করছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, গেল ২৪ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্রের পানি ৩ সেন্টিমিটার কমে বিপদসীমার ২৮ সেন্টিমিটার ও ঘাঘটের পানি ১০ সেন্টিমিটার কমে ১১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

জেলার অধিকাংশ এলাকা দীর্ঘদিন যাবত বন্যা কবলিত হয়ে থাকায় শ্রমজীবী মানুষরা অর্থ সংকটে পড়েছে। সেজন্য নিম্নবিত্ত পরিবার অধিকাংশ পরিবার ত্রাণের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে।

বন্যা কবলিত এলাকা ও আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে পানিবাহিত রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে শিশু ও বৃদ্ধরাই বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। 

এদিকে সিভিল সার্জন ডা. এবিএম আবু হানিফ জানান, সাত উপজেলার ৪৯টি ইউনিয়নের বন্যা দুর্গত এলাকার মানুষের জন্য ১০৯টি মেডিকেল টিম কাজ করছে। 

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, বন্যায় জেলার সাত উপজেলার ৪৯টি ইউনিয়নের ৪২৪টি গ্রাম ও ২টি পৌরসভার ৫ লাখ ৮৫ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঘরবাড়ির ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৬৯ হাজার ৮৭০টি।

তাদের বেশির ভাগই নিজেদের ঘরবাড়ি ছেড়ে বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে এসে উঠছে। জেলায় আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে ১৯৭টি। এছাড়া ১৪ হাজার ২১ হেক্টর আউশ ধান, আমন বীজতলা, রোপা আমন, পাট ও শাকসবজি বন্যার পানিতে নিমজ্জিত হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। 

জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, বন্যা কবলিত জেলার সাত উপজেলায় ২১ লাখ টাকা, এক হাজার ২৪৫ মেট্রিক টন চাল, শিশু খাদ্যের জন্য ২ লাখ টাকা ও গো-খাদ্যের জন্য ২ লাখ টাকা, ৬ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়াও মন্ত্রণালয় হতে এক হাজার মেট্রিকটন চাল ও ১০ লাখ টাকার চাহিদা পাঠানো হয়েছে।

গাইবান্ধার ত্রিমোহিনী থেকে বাদিয়াখালি পর্যন্ত পানির প্রবল চাপে রেল লাইন বিধ্বস্ত ও ওয়াশ আউট হওয়ায় সরাসরি বুড়িমারী, দিনাজপুর ও লালমনিরহাট থেকে সান্তাহার পর্যন্ত সরাসরি ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। বিকল্প পথে কাউনিয়া-রংপুর-পার্বতীপুর-সান্তাহার রুটে লালমনি এক্সপ্রেস ও রংপুর এক্সপ্রেস চলাচল করছে।

পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে লালমনিরহাট বিভাগ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ত্রিমোহিনী ও বাদিয়াখালী রেলপথ মেরামতের কাজ শুরু করে দিয়েছে। তারা দ্রুত রেলপথ মেরামত করে কুরবানি ঈদের আগে সরাসরি ঢাকার সঙ্গে ট্রেন চলাচল চালুর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

Bootstrap Image Preview