Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২০ রবিবার, জুলাই ২০২৫ | ৪ শ্রাবণ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

মায়ের সহযোগিতায় মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবা গ্রেফতার

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৭ জুলাই ২০১৯, ০৬:৪৩ PM
আপডেট: ২৭ জুলাই ২০১৯, ০৬:৪৪ PM

bdmorning Image Preview
প্রতীকী ছবি


নিজ মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে পলাতক বাবা আবুল কাশেম প্রকাশ শিয়ল কাশেমকে (৪৩) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

শনিবার (২৭ জুলাই) রামগড় থানার পুলিশ ছদ্মবেশ ধারণ করে খাগড়াছড়ি জেলা সদর থেকে তাকে আটক করে।

এর আগে গত ১৯ জুলাই ধর্ষণে স্বামীকে সহযোগিতার অভিযোগে মনোয়ারা বেগমকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বর্বরোচিত এ ঘটনায় ১৯ জুলাই বিকালে রামগড় থানায় একটি মামলা করা হয়।

ধর্ষণের শিকার ৮ম শ্রেণির ঐ মাদ্রাসাছাত্রীর আপন চাচা ওমর ফারুক বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় মেয়ের বাবা আবুল কাশেমকে প্রধান আসামি এবং ধর্ষণের সহযোগী হিসেবে মা মনোয়ারা বেগমকে দুই নম্বর আসামি করা হয়।

পুলিশ জানায়, মেয়েকে ধর্ষণের ঘটনা ফাঁস হওয়ার পর আবুল কাশেম পালিয়ে যান। তাকে গ্রেফতার করতে পুলিশ গত ৬-৭ দিন ধরে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালায়। এরমধ্যে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে তার অবস্থান ও গতিবিধি নিশ্চিত হয় পুলিশ।

আইনজীবী সেজে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তার সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করা হয়। ফ্রি আইনি সহায়তার মাধ্যমে আদালত হতে জামিন নিয়ে দেয়ার কথা বলে তাকে শনিবার খাগড়াছড়ি আদালত প্রাঙ্গণে ডেকে আনা হয়। দুপুর একটার দিকে আদালত প্রাঙ্গণে আসা মাত্র আইনজীবীর ছদ্মবেশে সেখানে অবস্থানকারী পুলিশ তাকে ধরে ফেলে।

রামগড় থানার ওসি তারেক মোহাম্মদ আবদুল হান্নানের নেতৃত্বে এসআই আনোয়ার ও এএসআই (প্রো) ফরিদ ফাঁদ পেতে তাকে গ্রেফতার করে। ওসি জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে কাশেম মেয়েকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছেন।

ভিকটিম মাদ্রাসাছাত্রী অভিযোগ করেন, তার দিনমজুর বাবা গত ২ জুলাই রাতে জোরপূর্বক প্রথমবার তাকে ধর্ষণ করে। ঐ দিন গভীর রাতে তার শোবার কক্ষে এসে ধর্ষণ করতে চাইলে তিনি বাবার হাত পা ধরে ক্ষমা চান।

অনেক আকুতি মিনতি করেও নিজেকে বাঁচাতে পারেনি মেয়েটি। জোরপূর্বক ধর্ষণ করা হয় তাকে। একইভাবে আরও ২-৩ রাত ধর্ষণের শিকার হয় বলে জানান ছাত্রী।

তিনি আরো বলেন, সর্বশেষ গত ১২ জুলাই গভীর রাতে তার শোবার কক্ষে ধর্ষণ করতে গেলে বাবাকে বলেন, কাল মাদ্রাসায় আমার কোরআন পরীক্ষা। আমার সঙ্গে খারাপ কাজ করবেন না। আমার সঙ্গে এভাবে খারাপ কাজ না করে বিষ খাইয়ে আমাকে মেরে ফেলেন। কিন্তু মেয়ের কোন কথাই শুনেনি বাবা। বরং ধর্ষণের কথা প্রকাশ করলে গলাটিপে হত্যা করে লাশ বস্তা ভরে মাটিতে পুঁতে ফেলার ভয়ভীতি দেখান তার বাবা।

ভিকটিম জানায়, ঘরের একটি কক্ষে তার মা-বাবা থাকে। পাশের কক্ষে চার ভাইকে নিয়ে সে থাকে। গভীর রাতে ওদের কক্ষে এসে বাবা তাকে ধর্ষণ করতেন।

ভিকটিম আরও অভিযোগ করেন, তার মাও ঘটনা জানেন। ধর্ষণের কাজে মা তার বাবাকে সাহায্য করতেন। চিৎকার চেঁচামেচি করতে চাইলে মা তার মুখ চেপে ধরতেন।

ঘটনা প্রকাশ হওয়ার পর স্থানীয় ইউপি মেম্বার মো. আব্দুল হান্নান ১৯ জলাই রাতে মেয়ে ও তার মাকে থানায় হাজির করেন। মেয়েটি আবুল কাশেমের বড় মেয়ে।

Bootstrap Image Preview