Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৯ শনিবার, জুলাই ২০২৫ | ৪ শ্রাবণ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

কাষ্টমস কর্মকর্তার বাসায় ঘুষের টাকা লেনদেন, আটক ৭

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৫ জুলাই ২০১৯, ০৬:৫৭ PM
আপডেট: ২৫ জুলাই ২০১৯, ০৬:৫৭ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


রাজশাহী মহানগরীতে সোনামসজিদ স্থলবন্দরে কর্মরত এক কাষ্টমস কর্মকর্তার বাসায় ঘুষের টাকা ও ডলার লেনদেনের সময় অভিযান চালিয়ে সাতজনকে আটক করেছে পুলিশ। এ সময় জব্দ করা হয়েছে ঘুষের ৮ লাখ ৩০ হাজার টাকা, ৭ হাজার ডলার এবং গুলিসহ একটি পিস্তল। 

বুধবার (২৪ জুলাই) দিবাগত রাতে নগরীর উপশহর এলাকার ১৭১ নম্বর বাড়িতে অভিযান চালায় রাজশাহী মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। বাড়িটি কাস্টমস গোয়েন্দার সুপারিটেনডেন্ট আইয়ুব আলীর। তিনি রাজশাহী বিভাগীয় কাস্টমস সদর দফতরে কর্মরত।

আটকৃকতরা হলেন - আবু সাইদ নয়ন, আহসান কবির মিঠু, মনিরুল ইসলাম জুয়েল, বায়েজিদ হোসেন, আব্দুল মান্নান, আবু হাসান রুবেল ও আব্দুল মালেক।

জানা গেছে, অভিযানের বিষয়টি টের পেয়ে কয়েকজন কাষ্টমস কর্মকর্তা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।

আটককৃতদের মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ কার্যালয়ে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার মামলা দায়েরের পর তাদের আদালতে পাঠানো হবে বলে গোয়েন্দা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।

আটককৃতরা কয়েকদিন ধরে গোয়েন্দা নজরদারিতে ছিলেন এবং তাদের অধিকাংশই সোনামসজিদ স্থলবন্দরে কর্মরত সিঅ্যা-এফ এজেন্ট বলে জানা গেছে।

আটককৃতদের মধ্যে নয়নের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরে। মিঠুর বাড়ি শিবগঞ্জের কালুপুর গ্রামে। মিঠু শিবগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সিঅ্যা-এফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশানের সাবেক সভাপতি আব্দুর রশিদের জামাই।

আর বায়োজিদ হোসেনের বাড়ি সোনা মসজিদেই। আব্দুল মান্নানের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জের রাজারামপুরে এবং আবুল হাসান রুবেল সোনা মসজিদ স্থলবন্দরের দায়িত্বে নিয়োজিত কাস্টমসের সহকারী কমিশনার বেলাল হোসেনের পিয়ন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।

গোয়েন্দা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কাস্টমস কর্মকর্তা আইয়ুব আলীর উপশহরের বাড়িতে প্রায় দিনই ঘুষের টাকার লেনদেন হতো। বসতো মদের আসরও। আইয়ুব আলী ঘুষের সেই টাকা অন্যান্য কাস্টমসের কর্মকর্তাদের মাঝেও বণ্টন করেন। বিষয়টি নিশ্চিত হয়েই অভিযানে যায় রাজশাহীর ডিবি পুলিশ।

বিষয়টি নিশ্চিত করে নগরীর বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিবারন চন্দ্র বর্মন জানান, জব্দ করা অস্ত্র, টাকা ও ডলার বোয়ালিয়া থানায় রাখা হয়েছে। অস্ত্রটি আবদুল মালেকের লাইসেন্স করা বলে দাবি করা হয়েছে। তারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখছেন। আর আটক সাতজনকে গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র গোলাম রুহুল কুদ্দুশ বলেন, আটকদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানানো হবে।

Bootstrap Image Preview