ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলায় পদ্মায় ভাঙনের তীব্রতা বেড়েছে। ফলে নদী পাড়ের ছবুল্যা শিকদার ডাঙ্গী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ছাড়াও উপজেলা সদরের বেড়িবাঁধগুলো চরম হুমকিতে রয়েছে।
উপজেলা সদরের বালিয়া ডাঙ্গী, ফাজেলখার ডাঙ্গী ও ছবুল্যা শিকদার ডাঙ্গী গ্রামে ভাঙন শুরু হয়েছে। এ পর্যন্ত নদীর ভাঙনে প্রায় তিন একর আউশ ধানী জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এছাড়া প্রায় তিন কি.মি. বেড়িবাঁধ সড়কের বিভিন্ন স্থানে ইটের রাস্তা ধ্বসে গেছে।
স্থানীয়রা জানান, নদীর তীর রক্ষায় যে কাজ করা হচ্ছে তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। তাৎক্ষনিকভাবে যদি কোনো পদক্ষেপ না নেয়া হয় তাহলে ছবুল্যা শিকদার ডাঙ্গী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ছাড়াও এলাকার বেশকিছু বেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে যাবে।
এদিকে ভাঙনের খবর পেয়ে মঙ্গলবার ফরিদপুর পাউবো’র নির্বাহী প্রকৌশলী সুলতান মাহমুদ, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন মুশা, উপজেলা নির্বাহী অফিসার জেসমিন সুলতানা ও সদর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আজাদ খান নদী ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করে অতি দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস দেন।
ছবুল্যা শিকদার ডাঙ্গী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ শহিদুল ইসলাম জানান, গত রাতের ভাঙনে পদ্মা নদী স্কুলটির কাছাকাছি চলে এসেছে। স্কুলটি রক্ষা না করা গেলে চরাঞ্চলের শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙ্গে পরবে বলে তিনি জানান।
উপজেলা সদর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আজাদ খান জানান, ভারী বর্ষন ও বাড়তি পানির চাপে উপজেলা সদরের বালিয়া ডাঙ্গী, ফাজেলখার ডাঙ্গী গ্রামের প্রায় তিন কি.মি. বেড়িবাধঁ সড়কের বিভিন্ন স্থানে ইটের রাস্তা ধ্বসে যাওয়া সহ রাস্তার কোনো কোনো স্থান দেবে গেছে। এতে উপজেলা সদরের বেড়িবাঁধ গুলোও চরম হুমকিতে রয়েছে বলে জানান তিনি।