ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের পরিচালিত একটি আদালত দেশটির ৩০ শিক্ষাবিদ, ট্রেড ইউনিয়নকর্মী ও ধর্মীয় প্রচারককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন।
সৌদি যুবরাজের ঘনিষ্ঠ দৈনিক আরব নিউজের খবর বলছে, সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের পক্ষে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে তাদের এই দণ্ড দেয়া হয়েছে।
বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রিত রাজধানী সানায় ফৌজদারি অপরাধের দায়ে বিচারের মুখোমুখি হওয়া বিবাদীরা গত বছর থেকে কারাগারে রয়েছেন। তাদের বয়স ৩৬ বছরে মধ্যে।
সূত্র জানায়, আগ্রাসনকারী দেশের পক্ষে গুপ্তচরবৃত্তি করার অভিযোগে মঙ্গলবার তাদের মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়। এছাড়া ছয় ব্যক্তিকে অভিযোগ থেকে খালাস দেয়া হয়েছে বলে বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে বলা হয়েছে।
হুতিদের অবস্থান চিহ্নিত করে তাদের ওপর বিমান হামলা চালাতে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটকে সহায়ত করতেন তারা বলে অভিযোগে জানানো হয়।
২০১৫ সাল থেকে ইয়েমেনে বিমান হামলা চালিয়ে আসছে সৌদি জোট। ইয়েমেনে সৌদি জোটের ব্যাপক হামলার পর গত বছরের শেষ দিকে জাতিসংঘ সতর্ক করে জানায়, দেশটি মারাত্মক দুর্ভিক্ষের মুখে পড়তে যাচ্ছে। বর্তমানে ইয়েমেনের দুই কোটি ৪০ লাখ লোকের জন্য মানবিক সহায়তার প্রয়োজন। গত বছর সেখানে কলেরা মহামারী দেখা দিলে ১০ লক্ষাধিক লোক এতে আক্রান্ত হন।
এ ছাড়া আন্তর্জাতিক এনজিওগুলো এক বিবৃতিতে বলেছে, এক কোটি ৪০ লাখ নারী, পুরুষ ও শিশু দুর্ভিক্ষের মুখে রয়েছে, যা দেশের মোট জনসংখ্যার অর্ধেক। এর আগে কখনও এতটা জরুরি অবস্থা ছিল না।
২০১৫ সালে সৌদি জোটের আগ্রাসনের পর থেকে প্রায় দুই কোটি শিশুর স্কুলে যাওয়া বন্ধ হয়ে গেছে। এসব শিশুর অধিকাংশই কেউ শ্রমিক হিসেবে কাজ করছে, কেউ ভিক্ষা করছে।
সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের সঙ্গে চলা সংঘাতে ইয়েমেনের অসংখ্য স্থাপনা, হাসপাতাল, স্কুল ও কারখানা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়া দেশটির ৮৪ লাখ মানুষ চরম দারিদ্র্য ঝুঁকিতে রয়েছে।