Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৭ বৃহস্পতিবার, জুলাই ২০২৫ | ২ শ্রাবণ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

নতুন আইন: মালিকবিহীন প্রাণীকে হত্যা করলে ৬ মাসের জেল, জরিমানা ১০ হাজার

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮ জুলাই ২০১৯, ০৭:২২ PM
আপডেট: ০৮ জুলাই ২০১৯, ০৭:২২ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


মালিকবিহীন কোন প্রাণীকে হত্যা করলে ৬ মাসের জেল ও ১০ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রেখে প্রাণিকল্যাণ বিল-২০১৯ পাস করা হয়েছে। নতুন এ আইনে আরও বলা হয়েছে, পোষা কুকুরকে চলাফেরা করার সুযোগ না দিয়ে টানা ২৪ ঘন্টা আটকে রাখলে তাকেও এ শাস্তি ভোগ করতে হবে।

রবিবার (৭ জুলাই) বিলটি সংসদে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু প্রস্তাব করলে কণ্ঠভোটে তা পাস হয়। এর আগে দেওয়া বিলের উপর জনমত যাচাই-বাছাই কমিটিতে পাঠানো এবং সংশোধনী প্রস্তাবগুলো নিষ্পত্তি করা হয়।

গত ১০ মার্চ বিলটি সংসদে উত্থাপন হলে, পরীক্ষা, নিরিক্ষা করে ৪৫ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।

তারই ধারাবাহিকতায় রবিবার বিলটি সংসদে উত্থাপন হলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়। ১৯২০ সালে করা পশুর প্রতি নিষ্ঠুরতা নিরোধ আইন বাতিল করে নতুন আইন করতেই এ বিলটি পাস করা হয়েছে।

নতুন এ আইন অনুযায়ী, যুক্তিযুক্ত প্রয়োজনে ভেটিরিয়ান সার্জনের লিখিত পরামর্শ ও পদ্ধতি অনুসরণ করে কোনও প্রাণীর অজ্ঞান ও ব্যথাহীন মৃত্যু ঘটানো হলে তা অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে না।

এই আইন লঙ্ঘন করলে বা লঙ্ঘনে সহায়তা করলে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড দেওয়া হবে। আগের আইনে বিভিন্ন অপরাধের জন্য তিন মাসের জেল এবং এক হাজার টাকা জরিমানা করার বিধান ছিল।

এই আইনের অধীন অপরাধের বিচারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা যাবে। তবে তার আগে মোবাইল কোর্ট আইনের তফসিলে তা অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

বিলে আরও বলা হয়েছে, কর্তৃপক্ষের অনুমতি গ্রহণ ছাড়া কোনও প্রাণীকে দৈহিক কলাকৌশল প্রদর্শনের জন্য প্রশিক্ষণ বা দৈহিক কসরৎ প্রদর্শনের জন্য ব্যবহার করা যাবে না। তবে প্রতিরক্ষা বাহিনী, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ, পুলিশ, আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী ও কোস্টগার্ডের ক্ষেত্রে এই বিধান প্রযোজ্য হবে না।

এছাড়াও নিবন্ধন ছাড়া বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে পোষা প্রাণী উৎপাদন এবং ওই উদ্দেশ্যে কোনও খামার স্থাপন ও পরিচালনা করা যাবে না।

অপরদিকে, ধর্মীয় ও খাদ্যের বিষয়ে বিলে বলা হয়েছে, খাদ্য হিসেবে ব্যবহারের জন্য প্রাণী জবাইয়ের সময় ও ধর্মীয় উদ্দেশ্যে উৎসর্গের সময় যে কোনও ধর্মালম্বী ব্যক্তি কর্তৃক নিজস্ব ধর্মীয় আচার অনুযায়ী কোনও কার্যক্রম গ্রহণ করা হলে তাকে নিষ্ঠুরতা হিসেবে গণ্য করা হবে না।

বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কে প্রতিমন্ত্রী বলেন, পশুর প্রতি নিষ্ঠুরতা প্রতিরোধের জন্য যে সমস্ত অপরাধের বর্ণনা ও দণ্ড বিদ্যমান আইনে আছে, তা অনেকাংশে বর্তমানে অপ্রতুল ও প্রয়োগযোগ্য নয়। সভ্যতার ক্রমবিকাশের সঙ্গে সঙ্গে প্রাকৃতিক ভারসাম্য ও জীববৈচিত্ররক্ষায় বিবেকসম্পন্ন মানুষ ভাষাহীন প্রাণীর কল্যাণে এগিয়ে এসেছে।

সামাজিক অবস্থার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে প্রাণীর প্রতি নিষ্ঠুর আচরণ ও অপরাধের ধরন পরিবর্তন হয়েছে। একইসঙ্গে প্রাণীর প্রতি কল্যাণকর ও মানবিক আচরণেরও দাবিও উত্থাপতি হচ্ছে।

Bootstrap Image Preview