গোপালগঞ্জে শিক্ষার্থীকে ভুল ইনজেকশন পুশ করার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ডাক্তার ও নার্সকে জেল-হাজতে পাঠিয়েছে আদালত।
রবিবার (৭ জুলাই) দুপরে অভিযুক্ত ডা. তপন কুমার ম-ল এবং নার্স কুহেলিকা গোপালগঞ্জ সদর আমলী আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থণা করলে আদালতের বিচারক মোঃ হুমায়ুন কবীর জামিন না-মঞ্জুর করে তাদেরকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর আগে এ মামলায় অভিযুক্ত ওই ডাক্তার ও দু’ নার্স হাইকোর্ট থেকে ৮ সপ্তাহের জামিন নেন। জামিনের সময় শেষ হওয়ায় রবিবার ডাক্তার তপন ও নার্স কুহেলিকা নিম্ন-আদালতে হাজির হন। মামলায় অভিযুক্ত আরেক নার্স শাহনাজ পারভীন আদালতে হাজির হননি।
প্রসংগত, গত সোমবার (২০ মে) পিত্তথলিতে পাথরজনিত সমস্যা নিয়ে গোপালগঞ্জ ২৫০-শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী মরিয়ম সুলতানা মুন্নী (২০)।
পরদিন মঙ্গলবার (২১ মে) সকালে অপারেশনের পূর্বে কর্তব্যরত নার্স ভুল করে মুন্নীকে অতিমাত্রায় চেতনা-নাশক ইনজেকশন পুশ করেন। এর পরই সে অজ্ঞান হয়ে পড়ে।
পরে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রথমে খুলনা এবং পরবর্তীতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। সেখানে সে আইসিইউ’তে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এখনও পর্যন্ত তার জ্ঞান ফেরেনি বলে জানা গেছে।
ঘটনার দিনই মুন্নীর চাচা জাকির হোসেন বিশ্বাস বাদী হয়ে ড. তপন কুমার ম-ল, নার্স শাহনাজ পারভীন কুহেলিকাকে আসামি করে গোপালগঞ্জ সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। তাদের গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হলে অভিযুক্তরা হাইকোর্ট থেকে ৮ সপ্তাহের জন্য জামিন নেন।