ইরানের ইন্টেলিজেন্স মিনিস্টার মাহামুদ আলাভি বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা হতে পারে একমাত্র নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের মাধ্যমে এবং ইরানের সবোর্চ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি এটি অনুমোদন দিতে পারেন।
বৃহস্পতিবার তেহরানের সরকারি সংবাদ সংস্থা ইরনার বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ কথা জানায়।
এর আগে বুধবার আলাভি বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যদি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেন, এবং আমাদের সর্বোচ্চ নেতা যদি অনুমতি দেন তা হলে আলোচনা হতে পারে।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ইরানের সামরিক ক্ষমতাকে ভয় পায়। এর কারণ হলো- ইরানকে আক্রমণের সিদ্ধান্ত থেকে ফিরে আসা।
২০ জুন মার্কিন ড্রোন হরমুজ প্রণালিতে ভূপাতিত করার পর ট্রাম্প ইরানের বেশ কয়েকটি লক্ষ্যবস্তুতে সামরিক হামলার ঘোষণা দিয়ে পরে তা প্রত্যাহার করে নেন। এতে বলা হয়েছিল হামলা হলে কমপক্ষে ১৫০ জন নিহত হতে পারে। এরপর ট্রাম্প বলেছিলেন, ইরানের সঙ্গে খোলা আলোচনা হতে পারে।
তেহরান বলেছে, চালকবিহীন গোয়েন্দা বিমান (ড্রোন) আকাশসীমা লঙ্ঘন করায় ভূমি থেকে ভূমিতে নিক্ষেপণযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ধ্বংস করা হয়েছে। যেখানে ওয়াশিংটন দাবি করছে তাদের ড্রোন আন্তর্জাতিক আকাশসীমায় মেনে চলাচল করছিল।
ছয় বিশ্বশক্তির সঙ্গে করা ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তি থেকে গত বছর যুক্তরাষ্ট্র নিজেদের সরিয়ে নিলে তেহরান ও ওয়াশিংটনের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। এর পর ওয়াশিংটন ইরানের অপরিশোধিত তেলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।
সবশেষে ইরানের সবোর্চ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি ও তার কার্যালয়কে নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হয়।