বাগেরহাটের মরেলগঞ্জ উপজেলায় হিরা আক্তার (১২) নামে এক মাদরাসাছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা করে বিবস্ত্র মরদেহ ঝুলিয়ে রেখে যায় দুবৃর্ত্তরা।
মঙ্গলবার (২ জুলাই) রাতে মরেলগঞ্জ উপজেলার বহরবুনিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম বহরবুনিয়া গ্রাম থেকে ওই ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। বুধবার দুপুরে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে নিহত মাদরাসাছাত্রীর মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে।
নিহত হিরা ছাপড়াখালী গাজীরঘাট দাখিল মাদরাসার ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী এবং পশ্চিম বহরবুনিয়া গ্রামের দিনমজুর গাউস শেখের মেয়ে।
এ ঘটনায় বুধবার বিকেল পর্যন্ত পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন যুবককে আটক করেছে। আটকরা হলেন- মরেলগঞ্জ উপজেলার ফুলহাতা গ্রামের সিদ্দিক সিকদারের ছেলে ওসমান সিকদার (২৪), পশ্চিম বহরবুনিয়া গ্রামের আলম মৃধার ছেলে শাহিন (১৯) ও সোবাহান মৃধার ছেলে রফিকুল মৃধা (১৯)।
নিহত মাদরাসাছাত্রীর বাবা গাউস শেখ অভিযোগ করে বলেন, আমার স্ত্রী পারিবারিক কাজে বাগেরহাট শহরে যান। এ সময় আমি ও আমার মেয়ে হিরা আক্তার বাড়িতে ছিলাম। মঙ্গলবার বিকেলে আমি মেয়ে হিরাকে বাড়িতে একা রেখে কেনাকাটা করতে বাড়ির বাইরে যাই। সেখান থেকে ফিরে রাতে এসে দেখি আমার মেয়েকে বিবস্ত্র অবস্থায় ঘরের আড়ার সঙ্গে গামছা দিয়ে ঝুলানো। আমার মেয়েকে ধর্ষণের পর হত্যা করে ঝুলিয়ে রেখে গেছে দুবৃর্ত্তরা।
বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রিয়াজুল ইসলাম বলেন, রাতেই বাগেরহাট পিবিআইয়ের একটি এক্সপার্ট টিম নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ধারণা করা হচ্ছে, মেয়েটিকে পরিকল্পিতভাবে ধর্ষণ শেষে হত্যা করে নগ্ন অবস্থায় ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। বিভিন্ন ধরণের আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। এই হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে তিন যুবককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। কারা কী কারণে এই মেয়েটিকে হত্যা করল তা পুলিশ তদন্ত করে দেখছে।