শরীয়তপুরের জাজিরায় চার পরিবহন শ্রমিকের বিরুদ্ধে এক কলেজছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত বাসচালক রাকিব মণ্ডলকে (২২) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ঘটনার পর ধর্ষিতার বাবা বাদী হয়ে পালং মডেল থানায় শরীয়তপুরের আন্তঃজেলা পরিবহনের চার শ্রমিককে আসামি করে মামলা করেছেন।
পালং মডেল থানা ও স্থানীয় সূত্র জানায়, গত রবিবার (৩০ জুন) বিকালে তার এক আত্মীয়র বাড়ি যাওয়ার জন্য ওই কলেজছাত্রী শরীয়তপুর জেলা শহরের বাস টার্মিনালে আসেন।
সেখানে পূর্ব পরিচিত পরিবহন শ্রমিক ইসলাম ফকির নামে এক যুবকের সঙ্গে তার দেখা হয়। ইসলাম ওই ছাত্রীকে তার আত্মীয়র বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে তার বন্ধু রাকিব মণ্ডল, সবুজ রাড়ী (২২) ও ইকবালের সঙ্গে অটোরিকশায় তুলে দেয়।
তারা তিনজন মেয়েটিকে আত্মীয়র বাড়িতে না নিয়ে রাকিবের বাড়িতে নেয়। সেখানে মেয়েটির মুখ বেঁধে রাকিব, সবুজ ও ইকবাল মেয়েটিকে ধর্ষণ করে। এরপর সন্ধ্যায় ওই বাড়ি যায় ইসলাম। রাতে ইসলামও মেয়েটিকে ধর্ষণ করে।
এরপর ইসলাম মেয়েটিকে তাদের বাড়ির পাশের শরীয়তপুর বনবিভাগের পুকুর ঘাটে নিয়ে ফের ধর্ষণ করে। পরে স্থানীয় এক অটোরিকশা চালক তাদের দেখতে পেয়ে এগিয়ে গেলে ইসলাম মেয়েটিকে বিয়ে করবে এমন প্রতিশ্রুতি দিয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যায়।
পরে ওই অটোরিকশাচালক বিষয়টি পরিবহন শ্রমিক সংগঠনের নেতাদের জানান। নেতারা মেয়েটিকে তার পরিবারের সদস্যদের কাছে পৌঁছে দেন।
মঙ্গলবার (২ জুলাই) শরীয়তপুর আন্তঃজেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ফারুক চৌকিদার অভিযুক্ত রাকিব মণ্ডলকে বাস টার্মিনালে দেখতে পেয়ে আটক করে পুলিশে তুলে দেয়। রাতে ওই স্কুল ছাত্রীর বাবা পালং মডেল থানায় মামলা করেন।
ধর্ষণের শিকার ছাত্রী বলেন, ইসলাম, রাকিব ও সবুজ কয়েক দফায় আমাকে ধর্ষণ করেছে। এখন আমি কিভাবে সমাজে মুখ দেখাব? আমি তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
বুধবার (৩ জুলাই) শরীয়তপুর সদরের পালং মডেল থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আসলাম উদ্দিন বিডিমর্নিংকে বলেন, চারজন মিলে একটি মেয়েকে ধর্ষণ করেছে এমন অভিযোগে এক শ্রমিককে আটক করা হয়েছে।
ভিকটিম মেয়েটির বাবা চারজনকে আসামি করে মামলা করেছেন। মামলার বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।