সাতক্ষীরায় কিশোর আবু শাহীনের ওপর হামলা চালিয়ে ভ্যান ছিনতাই ঘটনার প্রধান আসামি নাঈমুল ইসলামসহ (২৪) তিনজনকে গ্রেফতার করেছে ডিবি পুলিশ।
সোমবার (১ জুলাই) দিনভর অভিযান চালিয়ে জেলার কলারোয়া ও ঝাউডাঙ্গা ও যশোর জেলার কেশবপুর থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
এ সময় ছিনতাই হওয়া ভ্যানটিও উদ্ধার করেছে পুলিশ। রাতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার মো. সাজ্জাদুর রহমান নিজ কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিং করে এ তথ্য জানিয়েছেন।
গ্রেফতার প্রধান আসামি নাঈমুল ইসলাম যশোরের কেশবপুর উপজেলার বাজিতপুর গ্রামের বাবর আলী মোড়লের ছেলে। বাকি দুজন হলেন, কলারোয়া উপজেলার আলাইপুর গ্রামের মৃত ভোলাই পাড়ের ছেলে মিস্ত্রি আরশাদ পাড় ওরফে নুনু (৬৫) এবং সাতক্ষীরা সদর উপজেলার গোবিন্দকাটি গ্রামের হামজের আলীর ছেলে বাকের আলী (৪৫)।
সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার মো. সাজ্জাদুর রহমান জানান, গত বৃহস্পতিবার রাতে নাঈমুল ও তার তিন সহযোগী কেশবপুর বাজার থেকে কলারোয়ায় আসার কথা বলে শাহীনের সঙ্গে ৩৫০ টাকা ভাড়া চুক্তি করেন। পরদিন শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে শাহীনকে নিয়ে সাতক্ষীরা পাটকেলঘাটা থানার ধানদিয়া জামতলা নামকস্থানে আসেন। সেখানে তাকে মারধর ও এলাপাতাড়ি কুপিয়ে মাথা ফাটিয়ে পাশের পাটক্ষেতে ফেলে রেখে ভ্যানটি নিয়ে পালিয়ে যান।
পরে তারা নাঈমুল ও তার দুই সহযোগী সাতক্ষীরা সদরের ঝাউডাঙ্গা বাজারের বাকের আলীর কাছে ৬ হাজার ২০০ টাকায় ভ্যানের চারটি ব্যাটারি বিক্রি করে দেন। সেখান থেকে কলারোয়া উপজেলার মির্জাপুর বাজারে গিয়ে মিস্ত্রি আরশাদ পাড় ওরফে নুনুর কাছে সাড়ে ৭ হাজার টাকায় ভ্যানটি বিক্রি করে দেন।
শাহীনকে উদ্ধারের পর গত শনিবার তার বাবা হায়দার আলী বাদী হয়ে সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটা থানায় তিনজনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ সুপার জানান, এ ঘটনায় সাতক্ষীরা ডিবি পুলিশ অভিযান চালিয়ে প্রথমে নাঈমুল ইসলামকে গ্রেফতার করে। পরে তার দেওয়া তথ্য মতে ভ্যান ও ব্যাটারী ক্রেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এদিকে, ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধিন শাহীন আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী তার চিকিৎসার দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন।