রাজশাহীতে কারিমা বেগম (৪২) নামে এক নারীকে নিজ শয়নকক্ষে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে । রবিবার দিবাগত গভীর রাতে পুঠিয়া উপজেলার শিলমাড়িয়া ইউনিয়নের লেপপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
নিহত কারিমা বেগম ওই গ্রামের শফিকুল ইসলামের স্ত্রী। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে খায়রুল ইসলাম আজ (সোমবার) বাদী হয়ে পুঠিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন।
এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে একই এলাকার আবুল কাশেম নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাকিল উদ্দীন আহম্মেদ এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, নিহতের ছেলে অজ্ঞাতনামা আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। ওই মামলায় সন্দেহভাজন একজনকে আটক করেছে পুলিশ। তাকে জিজ্ঞাবাদ শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে ওসি বলেন, প্রতিদিনের মতই রবিবার রাতেও কারিমা বেগম ঘরে এবং ছেলে খায়রুল বারান্দায় ঘুমিয়েছিলেন। রাত ২টার দিকে কে বা কারা কারিমা বেগমকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে ফেলে রেখে যায়। টের পেয়ে প্রতিবেশীরা তাকে উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নেন।
পরে সেখান থেকে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
এদিকে শিলমাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান সাজ্জাদ হোসেন মুকুল জানান, স্বামী চলে যাওয়ার পর ছেলেদের নিয়ে একলা জীবনযাপন করতেন কারিনা বেগম। অন্যের বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করে সংসার চালাতেন। বড় ছেলেও অন্যের বাড়িতে কাজ করেন। ঘটনার দিন তিনি বাড়িতে ছিলেন না। তার জানামতে, এলাকায় কারো সঙ্গে পরিবারটির কোনো বিরোধ ছিল না।