Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০১ মঙ্গলবার, জুলাই ২০২৫ | ১৭ আষাঢ় ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

মালিতে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত ১০০

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১ জুন ২০১৯, ১০:১০ AM
আপডেট: ১১ জুন ২০১৯, ১০:১৩ AM

bdmorning Image Preview


সেন্ট্রাল মালির একটি গ্রামে গত কয়েক মাসের জাতিগত সহিংসতায় শত শত মানুষ নিহত হয়েছে। কেবল রোববারের এক হামলাতেই নিহত হয়েছে প্রায় ১শ মানুষ। ওই গ্রামের দুই ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ডোগন ও ফুলানি’মধ্যকার সহিংসতায় এত বেশি রক্তপাতের ঘটনা ঘটেছে।

মালি কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে বিবিসি বলছে, রোববার মোবতি এলাকায় সানগা শহরের কাছে সোবামে দা গ্রামে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ওই গ্রামটিতে মাত্র ৩০০ জনের মত বাসিন্দা ছিল। এদের মধ্যে ১শ জন নিহত এবং আরো ১৯ জন নিখোঁজ রয়েছে। তবে গ্রামটি থেকে ৯৫টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, যাদের বেশিরভাগেরই শরীর পোড়া ছিল। আরো মরদেহ উদ্ধারের কাজ চলছে।

রবিবারের ওই হামলা থেকে গ্রামের মাত্র ৫০ জন মানুষ রক্ষা পেয়েছেন বলে বিবিসি জানিয়েছে।

ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম রয়টার্স জানায়, কেবল মার্চেই এক বন্দুক হামলায় দেড় শতাধিক নিহত হয়েছিলো। মালির সাম্প্রতিক ইতিহাসে এটিই সবচেয়ে ভয়াবহ রক্তক্ষয়ী হামলা।

এদিকে রবিবার সোবামে দা গ্রামে ওই হামলার পর ঘটনাস্থলে আরো সহিংসতা ঠেকাতে ঐ অঞ্চলে বিমান সহায়তা পাঠিয়েছে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনী।

এই হামলাকে ‘সন্দেহভাজন সন্ত্রাসীদের হামলা’ বলে উল্লেখ করেছে মালি সরকার।

প্রাণে বেঁচে যাওয়া আমাদো টোগো নামের এক ব্যক্তি সংবাদ সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, ৫০ জনের মত ভারি অস্ত্রসজ্জিত ব্যক্তি মোটরবাইক এবং পিকআপে করে আসে। তারা প্রথমে পুরো গ্রামটি ঘিরে ফেলে পরে হামলা করে এবং যে পালানোর চেষ্টা করে তাকেই তারা হত্যা করে।

এই ব্যক্তি আরো বলেছেন, গ্রামের কেউ রক্ষা পায়নি। নারী, শিশু, বৃদ্ধ-কেউ না।

এদিকে কোন গ্রুপ এখনো পর্যন্ত এই হামলার দায় স্বীকার করেনি।

প্রসঙ্গত, ওই অঞ্চলে ডোগন এবং ফুলানি বাসিন্দাদের মধ্যে বহুদিনের দ্বন্দ্ব রয়েছে। এর মূল কারণ ডোগনরা প্রথাগত পদ্ধতিতে চাষবাস করে জীবিকা নির্বাহ করে।

অন্যদিকে, পশ্চিম আফ্রিকা থেকে আসা ফুলানি গোত্রের লোকেরা কিছুটা যাযাবর জীবনযাপন করে। এই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে জমির মালিকানা নিয়ে বিরোধ অনেক পুরনো।

Bootstrap Image Preview