Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৩ মঙ্গলবার, মে ২০২৫ | ২৯ বৈশাখ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

দুই বছরেও সংস্কার হয়নি উদ্বোধনের আগে ভেঙে যাওয়া জোরা ব্রিজ

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০ জুন ২০১৯, ০২:২৮ PM
আপডেট: ১০ জুন ২০১৯, ০২:২৮ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


দিনাজপুর সদর উপজেলার সুন্দরবন ইউনিয়নের হারগা গ্রামের জোরা ব্রিজটি উদ্বোধনের আগেই ভেঙে গেলেও দুই বছরেও মেরামত করা হয়নি ব্রিজটি। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন সুন্দরবন ইউনিয়নসহ আশপাশের আরও বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষ।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রাস্তাবিহীন একটি ভাঙা ব্রিজ অকেজো হয়ে পড়ে আছে। ব্রিজের পাশ দিয়ে অন্যের ফসলি জমির উপর দিয়েই যাতায়াত করছেন পথচারীরা। ব্রিজটি ২০১৫-১৬ সালে নির্মাণ করা হয়েছিল বলে স্থানীয়রা জানান। তবে ব্রিজটি উদ্বোধনের আগেই বন্যার পানিতে ভেঙে গেছে। ভেঙে যাওয়ার প্রায় দুই বছর পেরিয়ে গেলেও ব্রিজটির পুনঃনির্মাণ হয়নি।

ব্রিজটি মেরামত না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী। ক্ষোভ প্রকাশ করে সন্তোষ চন্দ্র দাস বলেন, “আমি মেয়ের বিয়ে দিয়েছি পাশের গ্রামে। কিন্তু ব্রিজটি ভাঙা থাকায় যাওয়া-আসা খুবই কষ্ট হয়। এতদিন হলো ব্রিজটি ভেঙে যাওয়া; এখনো কর্তৃপক্ষ এদিকে নজর দিচ্ছেন না। এতে ভোগান্তিতে পড়েছি আমরা সাধারণ মানুষ।”

ব্রিজটি মূলত সংযোগ স্থাপন করেছে দিনাজপুর সদর উপজেলার সঙ্গে কাহারোল উপজেলার বেশ কয়েকটি গ্রামের। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করে এই রাস্তা দিয়ে। ব্রিজটি ভেঙে যাওয়ায় ব্রিজের পাশ দিয়ে অন্যের ফসলি জমির উপর দিয়ে যাতায়াত করছেন সাধারণ পথচারীরা। এতে ফসলেরও ক্ষতি হচ্ছেন বলে জানিয়েছেন জমির মালিক।

জমির মালিক শ্যামল মাস্টার বলেন, “ব্রিজটি ভেঙে গিয়ে মানুষের চলাচলে অনেক অসুবিধা হয়েছে। এর জন্য বিপরীত কোনো রাস্তা না থাকায় আমাদের জমির উপর দিয়েই যাতায়াত করছে মানুষজন। আমরা কাউকে মানাও করতে পারি না। ব্রিজটি মেরামত হলে আমাদের সবার জন্যই সুবিধা হয়।”

এ বিষয়ে সদর উপজেলার সুন্দরবন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অশোক কুমার রায় বলেন, “ব্রিজটি উদ্বোধনের আগেই বন্যার পানিতে ভেঙে গিয়েছিল। তারপর থেকে আর মেরামত করা হয়নি। তবে এখানে পাইলিং দিয়ে নতুন ব্রিজ হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, “ব্রিজটি ইউনিয়ন পরিষদের আওতাভুক্ত নয়, এটি পিআইও এর কাজ ছিল বলে জানান তিনি।”

এ বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা প্রকৌশলী মো. আলতাফ হোসেন বলেন, “ব্রিজটি ২০১৫-১৬ অর্থ বছরের জুন মাসে শেষ করা হয়েছিল। কাজ শেষ করার কিছুদিনের মধ্যে প্রবল বন্যার কারণে ভেঙে যায়, তারপর থেকে ওভাবেই পড়ে আছে। তবে ওখানে নতুন ব্রিজের জন্য প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে।”

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর নতুন ব্রিজ করার জন্য মাটি পরীক্ষা করেছে। খুব শিগগিরই ব্রিজের কাজ শুরু হবে বলে জানান তিনি।

Bootstrap Image Preview