সুনামগঞ্জের ছাতক-কোম্পানীগঞ্জ নৌপথে চাঁদাবাজি বন্ধের লক্ষ্যে গত ১৪ মে রাতে ছাতক পৌর শহরে ফেসবুকে স্ট্যাটাস নিয়ে আওয়ামী লীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় দায়ের করা মামলা নিয়ে পুলিশ ও ব্যবসায়ীরা মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছেন।ব্যবসায়ীরা তাদের উপর থেকে মামলা প্রত্যাহারের কর্মসূচি ঘোষনা করতে গেলে পুলিশ তা করতে দেয়নি বলে ব্যবসায়ীদের অভিযোগ । ফলে পুলিশের সাথে ব্যবসায়ীদের দুরত্ব দিন দিন বাড়ছে।
গত মঙ্গলবার (২৮ মে) ব্যবসায়ীদের আসামি করে মামলা করার প্রতিবাদে নৌপথে পাথর লোড-আনলোড ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে প্রতিবাদ করেন তারা। ঐ দিন মানববন্ধন করতে গেলে ছাতক থানা পুলিশের বাধার কারণে করা সম্ভব হয়নি। পুলিশ পাথর ব্যবসায়ী সমিতির অফিস থেকে ব্যানার খুলে নেন বলে অভিযোগ করেন ব্যবসায়ীরা।
দীর্ঘদিন ধরে ছাতকে নৌপথে চাঁদাবাজি বন্ধের দাবি করে আসছিলেন ব্যবসায়ীরা। ১৪ মে আওয়ামী লীগের রহিম আলী নামের এক কর্মীর ফেসবুকে স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষ হয়। গুলিবিদ্ধ হয়ে ভ্যান চালক নিহত হন। এ ঘটনায় হত্যাসহ তিনটি মামলা করা হয়।
এসআই দেলোয়ার হোসেন বাদী হয়ে ৯৮ জনের নাম উল্লেখ ২ শতাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মামলা ও এসআই পলাশ সরকারবাদী হয়ে পৌরসভার ৯ জন কাউন্সিলরসহ ৯৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আড়াই শতাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে পুলিশকে হামলা করার দায়ে মামলা ও নিহত ভ্যান চালকের স্ত্রী ফাতেমা বেগম বাদী হয়ে ১২ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা দায়ের করে।
এসব মামলায় ছাতকে অনেক প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ীকে আসামি করা হয়। ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ জানান, নৌপথে চাঁদাবাজদের রক্ষা করতে প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ীদের আসামি করে পুলিশ।
দায়েরকৃত এসব মামলা থেকে ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের নাম প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন, পাথর ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসান, পাথর ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক সামছু মিয়া, মধ্যবাজার ব্যবসায়ী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সাদিক মিয়া, একতা বালু উত্তোলন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আব্দুস ছাত্তার, শাহপরান ইঞ্জিন নৌকা মালিক সমিতির সভাপতি ছালেক মিয়া প্রমুখ।
এ ব্যাপারে ওসি তদন্ত আমিনুল ইসলাম এ বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, সব ব্যবসায়ী ঘটনার সঙ্গে জড়িত নন, তদন্ত করে সংশ্লিষ্টদের আসামি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় পৌর মেয়র আবুল কালাম চৌধুরী জানান, তাদের পারিবারিক সুনাম ক্ষুন্ন করতে ও রাজনৈতিক ফায়দা হাসিল করতে একটি পক্ষ এসব অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে । তাদের অবস্থান সব সময়ই চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে।