বগুড়ার নন্দীগ্রামে ছেলে রনি আহমেদের (২৮) ছুরিকাঘাতে বাবা বিএনপি নেতা আনোয়ার হোসেন (৫০) খুন হয়েছেন। পাল্টা ছুরিকাঘাতে ছেলেও আহত হন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার পূর্বপাড়ার বাড়িতে ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটে। হিউম্যান হল্যার থেকে আয়ের টাকার হিসাব না দেয়া নিয়ে বিরোধে এ ঘটনা ঘটে বলে স্বজনরা জানিয়েছেন।
এ ঘটনার পর গুরুতর অবস্থায় বাবা ও ছেলেকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে আনোয়ার হোসেন মারা যান। খবর পেয়ে আহত ছেলে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে গেছেন।
পুলিশ ও এলাকাবাসীরা জানান, নন্দীগ্রাম উপজেলা সদরের পূর্বপাড়ার মৃত নিজাম উদ্দিনের ছেলে ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন পৌর বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি কয়েক বছর আগে তার মাদকাসক্ত ছেলে রনি আহমেদকে জীবিকা নির্বাহের জন্য একটি হিউম্যান হল্যার (লেগুনা) কিনে দেন। রনি গত কয়েকমাস এ থেকে আয়-ব্যয়ের কোনো হিসাব দেননি। এ নিয়ে বাবা ও ছেলের মধ্যে গত কয়েকদিন ধরে মতবিরোধ চলছিল।
বৃহস্পতিবার বেলা ১২টার দিকে বাড়িতে আনোয়ার হোসেন ছেলে রনির কাছে টাকার হিসাব চান। এ নিয়ে বাবা ও ছেলের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। এক পর্যায়ে রনি ক্ষিপ্ত হয়ে ছুরি এনে বাবার পেটে ঢুকিয়ে দেয়। ছুরিকাহত আনোয়ার ছুরি কেড়ে নিয়ে ছেলে রনিকে আঘাত করেন। আবার রনি ছুরি কেড়ে নিয়ে বাবাকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করেন।
আত্মীয়-স্বজন ও প্রতিবেশীরা টের পেয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় বাবা ও ছেলেকে উদ্ধার করে বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে ভর্তি করেন। ভর্তির পর দুপুর ১টার দিকে বিএনপি নেতা আনোয়ার হোসেন মারা যান।
নন্দীগ্রাম থানার ওসি শওকত কবির জানান, বাবার মৃত্যুর খবর পেয়ে গুরুতর আহত ছেলে রনি হাসপাতাল থেকে পালিয়ে গেছে। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।