জোট সরকার গঠনে ব্যর্থ হয়েছেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। এ কারণে দেশটির আইনপ্রণেতারা পার্লামেন্ট ভেঙে দেয়ার পক্ষে সম্মতি দিয়েছেন।
ইসরাইলের ইতিহাসে এ ধরনের ঘটনা এটিই প্রথম। আর তাই আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর দেশটিতে আবারও জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
গত ৯ এপ্রিল দেশটিতে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে বেশি আসনে জয়ী হলেও একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় জোট গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করে নেতানিয়াহুর দল।
দেশটির সংবিধান অনুযায়ী, নির্বাচিত হওয়ার পর সরকার গঠনের সময়সীমা ছিল বুধবার মধ্যরাত পর্যন্ত। কিন্তু নির্ধারিত সময় পর্যন্ত সরকার গঠনে কোনো দলকে জোট শরিক হিসেবে রাজি করাতে পারেনি তারা।
পরে নেসেটের আইনপ্রণেতারা ৭৪-৪৫ ভোটের ব্যবধানে সংসদ ভেঙে দেয়ার প্রস্তাবে সম্মতি দেন।
গত ৯ এপ্রিলের সাধারণ নির্বাচনে লিকুদ পার্টি ১২০ আসনের মধ্যে ৩৫টিতে জয়ী হয়। এর মাধ্যমে পঞ্চমবার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দ্বারপ্রান্তে ছিলেন নেতানিয়াহু।
কিন্তু সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী আভিগডোর লিয়েবারম্যানের ন্যাশনালিস্ট ইসরাইল বেইটেনু পার্টির সঙ্গে সমঝোতায় পৌঁছাতে না পারায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়।
বলা হচ্ছে, অভ্যন্তরীণ কোন্দলই বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পথে বাধা হয়ে দাঁড়াল।