সৌদি আরবে হজ করতে এসে মাদকদ্রব্য বহনের অভিযোগে পৃথকভাবে গ্রেপ্তার হন মালাম আবুবকর ইব্রাহিম ও জয়নাব আলি নামের দুই নাইজেরিয়ান। এদের মধ্যে ৯৩ দিন কারাগারে থাকার পর মুক্তি পান মালাম। আর জয়নাব মুক্তি পান ১২২ দিন পর। সম্প্রতি এ নিয়ে মুখ খুলেছেন দুজনই।
মালাম আবুবকর ইব্রাহিমের উদ্বৃতি দিয়ে নাইজেরিয়ান গণমাধ্যম ডেইলি ট্রাস্ট জানিয়েছে, সৌদিতে পৌঁছার আগে নাইজেরিয়ার আমিনু কানো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তার প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়। তার ব্যাগে কেবল তিন সেট কাপড় এবং এক কপি কোরআন শরীফ ছিল।
কিন্তু সৌদিতে পৌঁছা মাত্রই তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয় তার ব্যাগে এক হাজার মাদক ট্যাবলেট আছে। গ্রেপ্তারের পর তিনি বুঝতে পারেন,আব্দুল কাদির নামের এক ব্যক্তি তার ব্যাগে সামান্য জিনিস দেখে আরও কিছু জিনিস ঢুকিয়ে দেন।এ সময় ওই ব্যক্তি তার অজান্তে আসলে মাদক ঢুকিয়ে দিয়েছিলেন।
ইব্রাহিম জানান, জীবনে কখনো তিনি জেল খাটেননি। এটি ছিল তার কাছে দুঃস্বপ্ন। কারাগারে তার সঙ্গে আরও ছিল সৌদি, পাকিস্তানি, ইয়েমেন ও বাংলাদেশিসহ অন্যান্য দেশের কয়েদিরা। তারা সবাই আরবি বলতে পারতেন। আমিই একমাত্র যে সেই ভাষা বুঝতাম না। তাই ভাষা একটি প্রধান বাধা ছিল।
কারাগারের ভেতরের অবস্থা প্রসঙ্গে ইব্রাহিম বলেন, ‘সেখানে সৃষ্টিকর্তাই আমাদের রক্ষা করেছেন। নইলে অন্য কিছু ঘটতে পারতো। কারাগারে আমি পেট ভরে খাবার খেতে পারতাম না। কারণ সেখানে খাবার পর্যাপ্ত নয়। তাছাড়া আমি সেসব খাবার খেতে অভ্যস্ত নই।’ তিনি দেশটির কারাগারে কয়েদিদের নিরাপত্তায় প্রয়োজনী ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।
এদিকে একই ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে জয়নাব বলেন, নিজেকে সান্ত্বনা দেওয়ার কোনো ভাষা নেই। তিনি মাকে নিয়ে হজ করতে আসেন সৌদিতে। কিন্তু তার কাছ থেকেও উদ্ধার করা হয় বেশ কিছু নিষিদ্ধ ট্যাবলেট। এরপর তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পাঠানো হয় কারাগারে।