ছবিটাতে যাকে দেখছেন তিনি একজন জনম দুঃখী হতভাগা "মা"। কি লোমহর্ষক ঘটনা, কি বিভীষিকাময় চিত্র। আমি সাংবাদিক ও মানবাধিকার সদস্য হয়ে ঘটনা শুনে চোখের জল ধরে রাখতে পারিনি। "মা" আপনি আমাদের ক্ষমা করে দিয়েন।
এই কলি যুগে আপনার ছেলেরা অসভ্য,ইতর, জানোয়ারের মত আপনার সাথে আচরণ করেছে আমরা খুবই মর্মাহত, ব্যথিত, বলার ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। যা হোক ঘটনাটা ঘটেছে মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলার সিন্দুরখান ইউনিয়নের গুলেরগাঁও গ্রামে। ছবিতে হতভাগা মা ছুকেরা বেগমের বয়স প্রায় ৭০ বছর। স্বামী অনেক আগেই মারা যান। তার দুই ছেলে দুই মেয়ে। বড় মেয়ে ও কিছুদিন আগে মারা যায়। উত্তরাধিকারী থেকে পাওয়া ১৫ শতাংশ জমি ছিল তার, ছেলেরা ভরণপোষণ দেয়না দেখে অন্যের বাড়িতে বাড়িতে বৃদ্ধ বয়সেও ঝি কাজ করে কোনো রকম দিন এনে দিন খেয়ে বেচেঁ আছে। হঠাৎ বড় ছেলের বউয়ের কুদৃষ্টি পড়ে জমির উপর।
জমি লিখে দিতে বলে না হলে অন্যেরা জমি নিবে, ঘটনার কিন্তু সূত্রপাত এখান থেকেই.. কথায় কথায় নির্যাতন চলে অবশেষে বড় ছেলে জহুর আলী (৪৫) বৃদ্ধার উপর আদিম যুগের পৈশাচিক, বর্বরভাবে দফায় দফায় শারীরিক নির্যাতন করে যা ছবিতে স্পষ্টভাবে প্রতীয়মান। বৃদ্ধ মার কাছে কোনো টাকা ছিলো না যে তিনি চিকিৎসা করাবেন। তিনি লোক- লজ্জায় কাউকে ঘটনা না বলে থানায় গিয়ে অভিযোগ করেন শ্রীমঙ্গল থানার ওসি সোহেল তা নিশ্চিত করেন।
তিনি চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। তার ছেলের বিরুদ্ধে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। যে মা দশ মাস দশ দিন পেটে ধরে কি কষ্ট করে আল্লাহর রহমতে পৃথিবীতে আলোর মুখ দেখালো.. এটাই কি তার প্রতিদান ছিলো। আমি বাকরুদ্ধ কথা বলার ভাষা হারিয়ে ফেলেছি।