Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৪ শুক্রবার, জুলাই ২০২৫ | ২০ আষাঢ় ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

ছাত্রীর স্পর্শকাতর স্থানে হাত, শ্রেণিকক্ষ থেকে শিক্ষককে নিয়ে গেল পুলিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১৩ মে ২০১৯, ০৫:১০ PM
আপডেট: ১৩ মে ২০১৯, ০৫:১২ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


কোচিং সেন্টারে স্কুলছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে বরিশাল নগরীর হালিমা খাতুন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষককে আটক করেছে পুলিশ।

সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে স্কুলের শ্রেণি কক্ষে পাঠদান করা অবস্থায় তাকে আটক করা হয়।

আটককৃত শিক্ষকের নাম এনামুল হক নাসিম। তিনি হালিমা খাতুন বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে গণিতের খণ্ডকালীন শিক্ষক। তবে পুলিশের দাবি আটক নয়, জিজ্ঞাবাদের জন্য ওই শিক্ষককে থানায় নেয়া হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, হালিমা খাতুন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক এনামুল হক নাসিম স্কুল সংলগ্ন গোরাচাদ দাশ রোডের একটি বাসার নিচতলা ভাড়া নিয়ে সেখানে কোচিং সেন্টার পরিচালনা করছেন। গত সপ্তাহে কোচিং শেষ হলে সব শিক্ষার্থী চলে গেলেও হালিমা খাতুন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির এক ছাত্রীকে পড়ার অজুহাতে কোচিং সেন্টারে রেখে দেন। কিছুক্ষণ পরে কথা বলার ছলে শিক্ষক এনামুল হক নাসিম শিক্ষার্থীর শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেন। তখন ওই শিক্ষার্থী ভয়ে কান্নাকাটি শুরু করলে শিক্ষক নাসিম তাকে ছেড়ে দেন।

বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, শিক্ষক নাসিম এর আগেও এ ধরনের একাধিক ঘটনা ঘটিয়েছে। প্রায়ই অশ্লীল ও কুপ্রস্তাব দেয়সহ শিক্ষার্থীদের জোর করে কোচিং করান তিনি।

বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক মো. শামিম বলেন, হালিমা খাতুন বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষক এনামুল হক নাসিমের বিরুদ্ধে একই স্কুলের ১০ম শ্রেণির এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেছে। মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে সোমবার তাকে স্কুল থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আনা হয়েছে। অভিযোগের সত্যতা পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ বিষয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক এসএম ফখরুজ্জামান বলেন, ইতোপূর্বে আমাদের কাছে এ ধরনের কোনো অভিযোগ কেউ করেননি। তবে মৌখিকভাবে ঘটনাটি শুনেছি। কিন্তু স্কুল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা সম্ভব হয়নি। আমরা ভেবেছিলাম স্কুল খোলার পরে এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কিন্তু তার আগেই যৌন হয়রানির অভিযোগে শিক্ষক নাসিমকে স্কুলে অতিরিক্ত ক্লাস করানোর সময় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।

আমরা স্কুল কর্তৃপক্ষ জরুরি ভিত্তিতে ঘটনার তদন্তে ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করেছি। একই সঙ্গে শিক্ষক নাসিমকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে বলেও জানান প্রধান শিক্ষক এসএম ফখরুজ্জামান।

Bootstrap Image Preview