বীর মুক্তিযোদ্ধার নাতি-নাতনিদের স্বতন্ত্র সংগঠন ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম পরিষদ’ এর তিন বছর মেয়াদী ৪৩সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা করেছে। মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের বিভিন্ন সমস্যা ও বিষয়াদি এবং ৩০ লক্ষ শহীদ ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্নের বাংলাদেশ বিনির্মাণে সংগঠনটি কাজ করবে।
রবিবার (১২ মে) মুক্তিযোদ্ধার নাতি-নাতনিদের স্বতন্ত্র সংগঠন ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম পরিষদ’র এ কমিটি গঠন করা হয়।
সংগঠনের চেয়ারম্যান মোঃ খালেদুজ্জামান ফারসিম বলেন, কিছু কিছু সংগঠন নামে ও সংবিধানে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান ও নাতি-নাতনীরা অন্তর্ভুক্ত থাকলেও মুক্তিযোদ্ধা নাতি-নাতনীরা প্রাধান্য পেত না। তাই আমি সিদ্ধান্ত নেই মুক্তিযোদ্ধা নাতি-নাতনীদের যদি স্বতন্ত্র সংগঠন করা যায়,তবে মুক্তিযোদ্ধা নাতি-নাতনীরা সারাদেশে জেগে ওঠবে।এবং সেই লক্ষ্যেই সংগঠন করার উদ্যোগ।এবং ধীরে ধীরে মুক্তিযোদ্ধা নাতি-নাতনীরা জেগে ওঠছে সংগঠনের মাধ্যমে।
সংগঠনের মহাসচিব মোঃ মিরাজ মিয়া বলেন, ৩ বছরের জন্য মুক্তিযোদ্ধা নাতি নাতনীদের সংগঠন বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম পরিষদ এর ৪৩ সদস্য বিশিষ্ট কেন্দ্রীয় পরিষদ গঠন করা হলো। সকলে নিজ নিজ অবস্থানে থেকে দায়িত্ব পালন করে সারাদেশের মুক্তিযোদ্ধা নাতি-নাতনীদের জাগিয়ে তুলবে সেই কামনা রইল।
মুক্তিযোদ্ধা সোশ্যাল মিডিয়া ফোরামের নির্বাহী পরিচালক মোঃ আশরাফুল ইসলাম গাজী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে এই প্রথম মুক্তিযোদ্ধার নাতি-নাতনীদের নিয়ে সংগঠন বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম পরিষদ,কেন্দ্রীয় শুভ যাত্রা শুরু হল। অভিনন্দন সবাইকে। মুক্তিযোদ্ধার নাতি নাতনীদের একই মঞ্চে নিয়ে আসার জন্য গত একবছরে তার উত্সর্জন অনস্বীকার্য।
উল্লেখ্য, দীর্ঘ ৪৭ বছর যাবত মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের ঘটে যাওয়া অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে এবং রাষ্ট্রীয় অধিকার প্রতিষ্ঠায় সারা দেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিকশিত করার লক্ষ্যে সংগঠনটি যাত্রা শুরু করেছে। বিভিন্ন সময়ে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের নাম ব্যবহার করুন বিভিন্ন সংগঠন ব্যানার প্রকাশ করলেও এই প্রথম মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি নাতনিদের নিয়ে একটি স্বতন্ত্র সংগঠন “বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম পরিষদ”কাজ শুরু করেছে