প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি বলেছেন, বারবার যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার কারণে ইরানের অর্থনৈতিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। ইরাকের সঙ্গে ১৯৮০-৮৮ সালের যুদ্ধের সময়ের চেয়েও পরিস্থিতি এখন সংকটময়।
ইরান আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার নজিরবিহীন চাপের মুখে আছে বলেও জানান তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইরানের বাড়তে থাকা উত্তেজনার মধ্যে রুহানি একথা বললেন। দেশে রাজনৈতিক চাপের মুখে পড়া রুহানি নিষেধাজ্ঞা মোকাবেলায় রাজনৈতিক ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছেন।
রাজধানী তেহরানে রাজনৈতিক কর্মীদেরকে রুহানি বলেন, যুদ্ধের সময় আমাদের ব্যাংকগুলোতে, তেল বিক্রিতে কিংবা আমদানি-রফতানিতে কোনো সমস্যা ছিল না। কেবল অস্ত্র কেনায় নিষেধাজ্ঞা ছিল।
রুহানি বলেন, শত্রুদের সৃষ্টি করা এই চাপ আমাদের ইসলামিক বিপ্লবের ইতিহাসে নজিরবিহীন এক যুদ্ধ...কিন্তু আমি আশা ছাড়ছি না এবং ভবিষ্যতের জন্য আমি অনেক আশাবদী। আমি বিশ্বাস করি আমরা ঐক্যবদ্ধ হলে এই কঠিন সময় পেরিয়ে যেতে পারব।
গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র উপসাগরে বিমানবাহী রণতরী এবং যুদ্ধবিমান মোতায়েন করে উত্তেজনার মাত্রা বাড়িয়েছে। ইউএসএস আব্রাহাম লিংকন বৃহস্পতিবার সুয়েজ খালের ভেতর দিয়ে অগ্রসর হচ্ছিল বলে জানিয়েছে মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ড।
এরই মধ্যে কাতারের আল উদেইদ মার্কিন ঘাঁটিতে বেশ কয়েকটি বি-৫২ বোমারু বিমান পৌঁছেছে। মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন বাহিনীর ওপর ইরানের সম্ভাব্য হামলার হুমকি মোকাবেলায় এসব পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। তেহরানের কাছ থেকে হুমকির মাত্রা সম্পর্কে সুস্পষ্ট কিছু বলেননি মার্কিন কর্মকর্তারা।