Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৫ শনিবার, জুলাই ২০২৫ | ২১ আষাঢ় ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

পছন্দের ধর্ষকের সঙ্গে অন্তঃসত্ত্বা কিশোরীর বিয়ে!

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১ মে ২০১৯, ১১:২১ AM
আপডেট: ১১ মে ২০১৯, ১১:২১ AM

bdmorning Image Preview


চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলায় পছন্দের ধর্ষকের সঙ্গে অন্তঃসত্ত্বা কিশোরীর (১৭) বিয়ের আয়োজন করা হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। গত কয়েকদিন আগে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করেন এলাকার চার যুবক। তাদের মধ্যে যাকে ভুক্তভোগী কিশোরী পছন্দ করবে তার সঙ্গেই বিয়ের ব্যবস্থা  করবেন গ্রাম্য মাতব্বররা।

এ ছাড়া ধর্ষণের ঘটনার পর ওই চার যুবকের কাছ থেকে কিশোরীর খরপোশের জন্য পাঁচ লাখ ২০ হাজার টাকা জরিমানাও আদায় করেন মাতব্বরা। টাকাগুলো ব্যাংকে জমা আছে। আগামীকাল শনিবার এই অর্থ দিয়েই বিয়ের আয়োজন করা হবে। এবং বাকি টাকা কিশোরীর সংসার খরচের জন্য ব্যয় করা হবে বলে জানা গেছে।

মাতব্বর মো. মোস্তফা কামালের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলে জানা গেছে, কয়েকদিন আগে হাজীগঞ্জ উপজেলার ১০নং দক্ষিণ গন্ধর্ব্যপুর ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড ডাটরা শিবপুর গ্রামের গাজী বাড়ীতে ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে। এক ভিখারীর মেয়েকে ধর্ষণ করেন ওই বাড়ির ইসমাইলের ছেলে রাব্বি (১৯), বিল্লালের ছেলে মেরাজ (২২), রফিকের ছেলে ইসমাইল (২১) ও সিরাজের ছেলে আরফিন আমিনুল (২০)।

কিছুদিন আগে মেয়েটি অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তার অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার কথাটি জানান। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে ধর্ষণের ঘটনাটি সামনে আসে।

বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে ওই চার যুবকসহ শালিস বৈঠকে বসেন গ্রামের মাতব্বররা। তারা বিষয়টি স্বীকার করলে তাদের কাছ থেকে ৫ লাখ ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন মো. মোস্তফা কামালসহ অন্যান্য মাতাব্বররা। পরে আদায়কৃত অর্থ ব্যাংকে জমা রাখা হয়।

মোস্তফা কামাল আরও জানান, যে অর্থগুলো জমা আছে, তা দিয়েই আগামীকাল বিয়ের আয়োজন করা হবে। বাকি টাকা কিশোরীর সংসার খরচের জন্য রাখা হবে। তাছাড়া ওই কিশোরী রাব্বি, মেরাজ, ইসমাইল ও আরফিনের মধ্যে যাকে পছন্দ করবে তার সঙ্গেই বিয়ে দেওয়া হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য ওহিদুল ইসলাম বলেন, অর্থদণ্ডের টাকাগুলো ব্যাংকে জমা আছে। আমরা সমাজের ইজ্জত রক্ষার্থে বিয়ের ব্যবস্থা করছি। সকল প্রস্তুতি শেষ। শনিবার বিয়ে দেব। তবে পাত্র ওই কিশোরীর পছন্দমতো যে কেউ একজন হবেন।

ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. গিয়াস উদ্দিন বাচ্চু বলেন, আমি ওই কিশোরীর অন্তঃসত্ত্বার বিষয়টি জেনেছি। বিস্তারিত কিছু পরে আর জানতে পারিনি।

হাজীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলমগীর হোসেন এ বিষয়ে জানান, তিনি এমন ঘটনার কোনো অভিযোগ পাননি।

Bootstrap Image Preview