ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর তালিকায় কেন থাকে না এ নিয়ে বিস্মিত হন কেন? এখানে দলীয় বিবেচনায় শিক্ষকের নিয়োগ, প্রমোশন, স্কলারশিপ হয়, অন্ধ দলবাজদের বড় বড় পদে নিয়োগ করা হয়, ছাত্রদের জোর করে রাত বিরাতে মিছিলে নেয়া হয়, যেকোনো নির্মাণ ও মেরামত কাজ এমনকি কিছু নিয়োগে ঘুষ বা বখড়া দিতে হয় ছ্ত্রানেতাকে। বেতন কম এ ধরনের কারণ বা অজুহাতে এখানকার মেধাবী শিক্ষকরা সিংহভাগ সময় ব্যায় করে অন্য প্রতিষ্ঠানে, অমেধাবীরা নানারকম ধান্ধায়। এখানে গবেষণায় বরাদ্ধ খুব কম, সে টাকাও মাঝে মাঝে মেরে দেয়া হয়।
পৃথিবীর কোনো দেশের বিশ্ববিদ্যলয়ে এসব ঘটে? এমন একটা ঘুনে ধরা প্রতিষ্ঠান কিভাবে সেরা তালিকায় আসবে? সব জেনেশুনে বিস্মিত বা দুঃখিত হন কেন? সব যখন মেনে নিয়েছি আমরা, তালিকার অবনমনও মেনে নিন সুখী চিত্তে। আর নেপাল বা শ্রীলংকার বিশ্ববিদ্যালয়? এগুলো শুধু না, অচিরে দেখবেন আমাদের পাবলিক বিশ্ববিদ্যলয়গুলো বুরকিনা ফাসোর বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর চেয়েও খারাপ।
লেখকঃ ড. আসিফ নজরুল (ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)
প্রসঙ্গত, ড. আসিফ নজরুল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক এবং একজন সংবিধান বিশেষজ্ঞ। আইনের জটিল দিকগুলোকে সাধারণ মানুষের কাছে সহজভাষায় উপস্থাপন করেন তিনি। আইনের শিক্ষক হলেও রাজনৈতিক বিশ্লেষক হিসেবে তিনি খ্যাতি অর্জন করেছেন। টেলিভিশনের টকশো উপস্থাপনা এবং অতিথি হিসেবে অংশ নিয়ে তিনি যেসব রাজনৈতিক বিশ্লেষণ করেন তা অত্যন্ত জনপ্রিয়।