শুক্রবার (৩ মে) সন্ধ্যা থেকে কক্সবাজারে প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় ফণী। সন্ধ্যা পৌনে ৬টা নাগাদ কক্সবাজারে হালকা বৃষ্টিপাত শুরু হয়।
সাধারণ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েই বাংলাদেশে আঘাত হানতে পারে ফণী। অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় থেকে গতিবেগ কমে গিয়ে এটি সাধারণ ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। ঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় এলাকা ঝড় ও বৃষ্টি শুরু হয়েছে।
সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে যশোর ও খুলনার উপকূলীয় এলাকা দিয়ে ফণীর অগ্রভাগ বাংলাদেশে আঘাত হানতে শুরু করেছে। ওইসব এলাকায় ঝড়ো হাওয়াসহ ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে।
এ দিকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শাহ কামাল জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ ধেয়ে আসায় উপকূলীয় ঝুঁকিপূর্ণ ১৯ জেলায় সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ১২ লাখ ৪০ হাজার ৭৯৫ জনকে আশ্রয় কেন্দ্রে নেয়া হয়েছে।
শুক্রবার (৩ মে) সন্ধ্যায় সচিবালয়ে ঘূর্ণিঝড় ফণীর সর্বশেষ অবস্থা ও মোকাবেলার প্রস্তুতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।
এরই মধ্যে ফণীর তাণ্ডবে ভারতের উত্তর প্রদেশে সৃষ্ট বজ্রপাতে ও গাছ উপড়ে অন্তত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। ভারতে তাণ্ডব চালিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে ঘূর্ণিঝড় ফণী।
এ ছাড়া বাংলাদেশের বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র প্রভাবে বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয় প্লাবিত হয়েছে। অনেকেই ঘরবাড়ি ছেড়ে গুরুত্বপূর্ণ মালামাল নিয়ে আশ্রয় নিতে শুরু করেছেন পার্শ্ববর্তী নিরাপদ স্থানে।
শুক্রবার (০৩ মে) সকাল থেকে বলেশ্বর নদীর পানি বাড়তে থাকে। স্রোতের চাপে উপজেলার পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) ৩৫/১ ফোল্ডারের বেড়িবাঁধ ভেঙে বগী, সাতঘর এলাকার লোকালয়ে পানি ঢুকে ঘরবাড়ি প্লাবিত হয়েছে।
অনেকেই ঘরবাড়ি ছেড়ে সন্তান-সন্ততি ও মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে পার্শ্ববর্তী এলাকায় অবস্থান নিয়েছেন। পরিস্থিতির অবনতি হলে আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ারও প্রস্তুতি রয়েছে তাদের।