Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২১ রবিবার, সেপ্টেম্বার ২০২৫ | ৬ আশ্বিন ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

শ্বাসরোধে স্ত্রীকে হত্যা পর স্বামীর আত্মহত্যা

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২২ এপ্রিল ২০১৯, ০৮:০০ PM
আপডেট: ২২ এপ্রিল ২০১৯, ০৮:০৭ PM

bdmorning Image Preview
প্রতীকী


গাজীপুরের কাপাসিয়ায় টোক ইউনিয়নের আড়ালিয়া গ্রাম থেকে স্বামী-স্ত্রীর যুগল লাশ উদ্ধার। কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে ঘরের দরজা ভেঙে বাবা ফজলুল হকসহ পরিবারের লোকেরা মেয়ে ফাহিমার (১৮) লাশ চৌকিতে ও তার স্বামী রিমন (২০) গলায় ওরনা পেঁচিয়ে ধরনাতে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান।

সোমবার (২২ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

খবর পেয়ে পুলিশ লাশ দুটি উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে।

কাপাসিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুবকর সিদ্দিক জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে স্বামী- স্ত্রীর কলহে প্রথমে স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা করে পরে স্বামী গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে।

জানা যায়, টোক ইউনিয়নের বড়চালা গ্রামের মনির হোসেনের পুত্র রিমন প্রায় ৯ মাস পূর্বে একই ইউনিয়নের আড়ালিয়া খালপাড় এলাকার ফজলুল হকের মেয়েকে বিয়ে করে। পেশায় অটোরিক্সা চালক রিমন বিয়ের পর থেকেই স্ত্রীকে নিয়ে অধিকাংশ সময় শ্বৃশুরবাড়িতে থাকতেন। বেশ কিছুদিন যাবৎ সে আর শ্বশুরবাড়িতে আসেন না।

রোববার রাতে স্ত্রী ফাহিমা ফোনে রিমনকে তাদের বাড়িতে ডেকে নিয়ে আসেন।

ফাহিমার বাবা ফজলুল হক জানান, বিভিন্ন কারণে জামাই মেয়েকে নির্যাতন করত। সকালে মেয়ের সঙ্গে জামাইয়ের ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে জামাইয়ের মোবাইল ফাহিমা ভেঙে ফেলে। পরে সকাল ১০টার দিকে তারা ঘরের দরজা বন্ধ করে দেয়।

দুপুর ১২ টার দিকে তাদের কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে দোচালা টিনের ঘরের ভেঙে তাদের লাশ দেখতে পান।

খবর পেয়ে রিমনের বাড়ির লোকজন তার শ্বুশুরবাড়িতে আসেন। ফাহিমারা ৩ ভাই ১ বোন এবং রিমন ৪ ভাইয়ের মাঝে তৃতীয়।

রিমনের বাবা মনির হোসেন জানান, বিয়ের পর থেকে ছেলে বেশিরভাগ শ্বশুরবাড়িতেই থাকত।

কাপাসিয়া থানার ইন্সপেক্টর (অপারেশন) মনিরুজ্জামান জানান, এ ঘটনায় ফাহিমার বাবা বাদী হয়ে স্বামী রিমনসহ অজ্ঞাতদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা ও রিমন আত্মহত্যা করায় অপর একটি ইউডি মামলা রুজু করার প্রস্ততি চলছে।

Bootstrap Image Preview