চুয়াডাঙ্গায় চেক ডিসঅনার মামলায় রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলমকে ৮ মাসের কারাদণ্ড ও ৬ লাখ টাকা অর্থদণ্ড এবং আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেছেন চুয়াডাঙ্গার যুগ্ম জেলা জজ (২) আদালত।
রবিবার (৭ এপ্রিল) দুপুরে আসামির অনুপস্থিতিতে চুয়াডাঙ্গার যুগ্ম জেলা জজ (২) আদালতের বিচারক নীলা কর্মকার এই আদেশ দেন।
জাহাঙ্গীর আলম চুয়াডাঙ্গা শহরের সাদেক আলী মল্লিকপাড়ার বাসিন্দা এবং ঢাকার রিয়েল এস্টেট প্রতিষ্ঠান ও ঢাকার জেটস ডেভেলপমেন্ট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক।
এসএম হাসিবুর রহমান ২০১৭ সালের ৩১ জুলাই চুয়াডাঙ্গার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিমের আদালতে জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে ১৮৮১ সনের এনআই অ্যাক্টের ১৩৮ (১) (২) ধারায় মামলা দায়ের করেন।
মামলায় বলা হয়, চুয়াডাঙ্গা বড়বাজারের ব্যবসায়ী এসএম হাসিবুর রহমান কিস্তিতে ফ্লাট কেনার জন্য জাহাঙ্গীর আলমের কাছে ১৮ লাখ টাকা জমা দেন। কিন্ত, ফ্লাট দিতে না পারলে টাকা ফেরত চাইলে জাহাঙ্গীর ৬ লাখ টাকার একটি চেক করেন। কিন্তু চেকটি ডিসঅনার হয়।
আসামীর আইনজীবী আসম আব্দুর রউফ বলেন, জাহাঙ্গীর আলম দেশের প্রতিষ্ঠিত রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী। জরুরি কাজে ব্যস্ত থাকায় তিনি চুয়াডাঙ্গার আদালতে হাজিরা দিতে পারেননি। তার অনুপস্থিতে দেওয়া একতরফা রায়ের বিষয়ে আমরা উচ্চ আদালতে যাব।
বাদী পক্ষের আইনজীবী সেলিম উদ্দিন খান জানান, জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে আরো দুটি মামলা করেছে বাদী হাসিবুর রহমান। শিগগিরই সে মামলারও রায় হবে।