সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার ‘জুডিশিয়াল ক্যু’ করার অভিপ্রায় ছিল জানিয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, সেটা বাধা দিতে গিয়ে দুই-আড়াই বছর যথেষ্ট সময় নষ্ট হয়েছে। অনেক উন্নয়ন কাজ তার কারণে ব্যাহত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) সচিবালয়ে লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সমন্বয় সভায় এ কথা বলেন আইনমন্ত্রী। লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ শহিদুল হক সভা পরিচালনা করেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, যে মুহূর্তে আমরা আইনের শাসনের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করবো সেই মুহূর্তে লেজিসলেটিভ ডিভিশনের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। তার কারণ হচ্ছে, কোনো আইনই কিন্তু এই লেজিসলেটিভ ডিভিশনের আওতার বাইরে যেতে পারে না। সেটা অনুধাবন করেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই ডিভিশন করেছেন।
তিনি বলেন, যেদিন থেকে সংবিধান প্রণয়নের কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে সেদিন থেকে কিন্তু লেজিসলেটিভ উইং-এর জন্ম হওয়া উচিত ছিলো। তার কারণ হচ্ছে লেজিসলেটিভ উইং একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ উইং। আইন বানানোর জন্য যে আলাদা বিভাগ লাগে আর এটা পরীক্ষা করতে হয় তা সামরিক শাসকরা ভাবতেও পারেননি। এজন্য বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ২০০৯ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে।
সভায় লেজিসলেটিভ ডিভিশনের কর্মকর্তাদের দক্ষতা বাড়ানোর লক্ষ্যে বিদেশে উচ্চতর প্রশিক্ষণ দেওয়ার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করে আইনমন্ত্রী বলেন, মন্ত্রণালয়ের উন্নয়নে প্রয়োজনীয় সব ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হবে। উপ-সচিবদের গাড়ি সুবিধা পাওয়ার বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেন মন্ত্রী।
আইনমন্ত্রী বলেন, আমরা সকলেই বাংলাদেশে বিশ্বাস করি, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করি। বঙ্গবন্ধু বৈষম্য বিলোপ ও ন্যায়বিচারের জন্য সংগ্রাম করে গেছেন। তাই আইন মন্ত্রণালয়ে বৈষম্য তৈরির কোনো সুযোগ নেই।