‘নেতৃত্ব চাই যক্ষ্মা নির্মূলে, ইতিহাস গড়ি সবাই মিলে’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে আজ ২৪ মার্চ পালিত হচ্ছে বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস। যক্ষ্মা রোগের ক্ষতিকর দিক বিশেষ করে স্বাস্থ্য, সামাজিক ও অর্থনৈতিক পরিণতি সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে এ দিবসটি পালিত হয়ে থাকে।
১৮৮২ সালের এ দিনে ড. রবার্ট কোচ যক্ষ্মার জীবাণু আবিষ্কার ও এ রোগ নির্ণয় ও নিরাময়ের পথ উন্মোচন করেন। তাকে স্মরণ করেই এই দিনটিতে যক্ষা দিবস পালিত হয়ে আসছে।
সারা বিশ্বের দশটি মৃত্যুজনিত কারণের মধ্যে যক্ষ্মা অন্যতম। আর বিশ্বের এক চতুর্থাংশ মানুষের দেহে এই রোগ সুপ্ত অবস্থায় আছে, যা সাধারণত সংক্রমণ ঘটায় না।
তবে, এদের মধ্যে পাঁচ থেকে পনেরো ভাগ মানুষের জীবনে যক্ষ্মার সংক্রমণ হতে পারে। এই রোগ নিয়মিত চিকিৎসায় সম্পূর্ণ নির্মূল করা সম্ভব বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা।
জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির (এনটিপি) তথ্য অনুযায়ী, ২০১৭ সালে এনটিপির মাধ্যমে দেশে ২ লাখ ৪৪ হাজার ২০১ জন যক্ষা রোগী শনাক্ত করা হয়েছে।
পাশাপাশি সরকারিভাবে তাদের চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এদের মধ্যে ১৫ বছরের কম বয়সী শিশু যক্ষা রোগী শনাক্ত হয়েছে ১০ হাজার ১৮৯ জন।
বাংলাদেশে প্রতিবছর লাখে ২২১ জন মানুষ যক্ষ্মায় আক্রান্ত হচ্ছে। এদের মধ্যে মারা যান ৩৬ জন। গ্লোবাল টিবি রিপোর্টের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে এনজিও সংস্থা ব্র্যাক।
দেশে এখন এক্সটেনসিভলি ড্রাগ রেজিস্ট্যান্ট রোগীর সংখ্যা মাত্র ১২ জন। যক্ষ্মা বিষয়ক এক সেমিনারে বিশেষজ্ঞরা বললেন, এই রোগের চিকিৎসায় বাংলাদেশ অনেক দেশের তুলনায় ভালো করছে।
দেশে এগারো’শো একত্রিশটি ল্যাবরেটরি, চল্লিশটি ইকিউ ল্যাবরেটরি এবং একশো তিরানব্বইটি জিন এক্সপার্টের মাধ্যমে যক্ষা নিয়ন্ত্রণ চলছে। আর চিকিৎসা আছে জেলা ও উপজেলার সব চিকিৎসালয়ে।