সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে সাত বছর বয়সী এক শিশুর আঙুল কেটে দেয়া সেই যুবলীগ নেতা আবদুল অদুদকে আটক করা হয়েছে। অদুদ উপজেলার দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক ছিলেন।
বুধবার(২০ মার্চ) উপজেলার সোলেমানপুর বাজার থেকে তাকে আটক করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত ২০১৮ সালের ১৮ মার্চ বর্বোরচিত ঘটনার দিন বিকালে সহপাঠীদের নিয়ে বাঁধের ওপর খেলছিল সোলেমানপুর গ্রামের শাহনুর মিয়ার ছেলে স্থানীয় মাদ্রাসার প্রথম শ্রেণির ছাত্র ইয়াহিন। সে বাঁধে গড়াগড়ি খেললে তা দেখে ফেলেন আবদুল অদুদ। এরপর তাকে ধাওয়া করে ধরে মাটিতে কয়েকবার আছাড় মারেন। ইয়াহিন তার পা ধরে ক্ষমা চাইলেও মন গলেনি। এরপর কাঁচি দিয়ে শিশুটির ডান হাতের তিনটি আঙল কেটে ফেলে দেন তিনি।
পরে স্থানীয়রা শিশুটিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়। কিন্তু অবস্থার অবনতি হলে রাতেই তাকে জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।সেখানেও অবস্থার অবনতি ও আঙুলে পচন ধরায় উন্নত চিকিৎসার জন্য সর্বশেষ তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনার পর দিন শিশু ইয়ামিনের পিতা শাহানুর মিয়া বাদী হয়ে ঘটনার মূলহোতা অদুদ মিয়া ও তার সহোদর আলম মিয়াকে আসামি করে তাহিরপুর থানায় মামলা করেন। মামলার পর অদুদের ছোট ভাই আলম মিয়াকে পুলিশ গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠিয়েছিল।এরপর প্রায় এক বছর পলাতক থাকার পর বাড়ি ফিরে আসায় গতকাল রাতে সোলেমানপুর বাজার থেকে অদুদকে আটক করেছে পুলিশ।
তাহিরপুর থানার ওসি শ্রী নন্দন কান্তি ধর বলেন, মামলা দায়েরের পর অদুদের ছোট ভাই আলম মিয়াকে পুলিশ গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করে। এরপর গত প্রায় এক বছর পলাতক থাকার পর বাড়ি ফিরে আসায় বুধবার রাতে সোলেমানপুর বাজার থেকে অদুদকে থানা পুলিশ আটক করে।