সাদা,কালো, সবুজ ও সোনালি রঙের ১ লাখ ৬৭ হাজার ৫০০ পুঁতির মাধ্যমে ৬৭ কেজি, সাড়ে চার হাজার ফুট দীর্ঘ একটি তজবি তৈরি করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার আবদুল্লাহ আল হায়দার নামের এক তরুণ।
হায়দার নবীনগরের জালশুকা গ্রামের শরীফ আবদুল্লাহ হারুন ও খোশ নাহার বেগমের ছেলে। তিনি রাজধানীর উত্তরার দারুল এহসান কলেজ থেকে হিসাববিদ্যায় স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর পাস করেছেন।
জানা যায়, হায়দার পড়াশোনা শেষ করে বাড়িতে অলস সময় কাটাচ্ছিল। ব্যতিক্রম কিছু করার মাধ্যমে ধর্মীয় মূল্যবোধ জাগিয়ে তোলার জন্য বিশেষ কিছুর পরিকল্পনা করে সে। এরপর তসবি তৈরি করে বিশ্ব রেকর্ড গড়ার চিন্তা মাথায় আসে। পুঁতি দিয়ে তসবি তৈরির কাজে সবচেয়ে বেশি সহযোগিতা করেছেন হায়দারের বন্ধু আরিফুল ইসলাম, মা খোশ নাহার বেগম ও বড় ভাই আল মামুন, বোন লাইলি বেগম এবং আবদুল্লাহ আল হাসান ও আবদুল্লাহ আল মনসুর নামের ফ্রান্সপ্রবাসী দুই বড় ভাই এতে অর্থ দিয়ে সহযোগিতা করেছেন। এটি তৈরি করতে দেড় লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। সময় লেগেছে প্রায় দুই মাস।
হায়দার বলেন,গত ২ জানুয়ারি থেকে তিনি তসবিটি তৈরি শুরু করেন। প্রতিদিন গড়ে ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা সময় ধরে পুঁতি গাঁথতেন। এক হাজার পুঁতি গাঁথতে এক ঘণ্টা লাগত।
তিনি আরও বলেন,পাকিস্তানে ৬০ কেজি ওজনের একটি তসবি রয়েছে বলে তিনি ইন্টারনেট ঘেঁটে জেনেছেন। সেই হিসাবে তাঁর তৈরি তসবিটি দৈর্ঘ্যে ও ওজনে বিশ্বের সর্ববৃহৎ।তিনি ১২ মার্চ গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে আবেদন করেছেন।