সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার খাষকাউলিয়া মিয়া পাড়া গ্রামের মো. আব্দুল্লাহর মেয়ে রাজিয়া খাতুন (২০)।
মঙ্গলবার (১২ মার্চ) সন্ধায় চিকিৎসারত অবস্থায় রাজিয়ার মৃত্যু হয়। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ভোরে বাবার বাড়িতে আগুন পোহাতে গিয়ে ধানের খড়ের আগুনে গর্ভের সন্তানসহ পুড়ে গুরতর আহত হয়।
জানা যায়, রাজিয়া খাতুনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চৌহালীর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে ডাক্তার উন্নত চিকিৎসার জন্য টাঙ্গাইল সদর হাসপাতালে রেফার্ড করেন। সেখানে তার অবস্থার আরো অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসারত অবস্থায় ১২ মার্চ সন্ধায় রাজিয়ার মৃত্যু হয়। স্বামী পরিত্যাক্তা রাজিয়া ৯ মাস ১৮ দিনের গর্ভবতী ছিল।
রাজিয়ার বাবা আব্দুল্লাহ জানায়, আমার মেয়ে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ভোরে ঘুম থেকে উঠে আগুন পোহানোর জন্য ধানের খড় দিয়ে আগুন জ্বালায়। হঠাৎ করেই তার শরিরে আগুন লাগলে সে চিৎকার দেয়। সাথে সাথে আমরা সেখানে গিয়ে দেখি তার শরিরে আগুন ধরে গেছে। কোনোরকমে পানি দিয়ে আগুন নিভিয়ে তাকে চৌহালী হাসপাতালে নিলে ডাক্তার এখানে উন্নত চিকিৎসা হবে না জানায়। পরে ঢাকা মেডিক্যালে নিয়ে চিকিৎসা করেও লাভ হয়নি।
পাশের বাড়ির ওমর ফারুক জনায়, তার চিৎকারে আমরা ঘুম থেকে উঠে দেখি- শরীরে আগুন জ্বলছে। সাথে সাথে পানি দিয়ে আগুন নিভিয়ে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে চৌহালী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। সেখান থেকে টাংগাইল সদর হাসপাতাল, পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কয়েকদিন চিকিৎসার পর রাতে তার মৃত্যু হয়। ১২ মার্চ সন্ধ্যায় তাকে বাড়িতে আনা হলে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আশে৷ ১৩ মার্চ সকাল ১১টায় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়৷