ভোটের ঠিক একমাস আগে নিজের দল তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করলেন পশ্চিমবঙ্গের ভাটপাড়ার বিধায়ক অর্জুন সিং।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১টায় দিল্লিতে বিজেপির সদর দপ্তরে এক অনুষ্ঠানে দলবদল করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে অর্জুন দাবি করেন, দেশের মঙ্গলের তুলনায় নিজের ভোট ব্যাংককে বেশি গুরুত্ব দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই আর তার সঙ্গে কাজ করা সম্ভব হচ্ছিল না। অর্জুনের বিজেপিতে যোগদানের অনুষ্ঠান শেষ হতে মঞ্চেই তার সঙ্গে হাত মেলান সদ্য তৃণমূলত্যাগী সাংসদ সৌমিত্র খাঁ।
হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অর্জুনের হাতে দলের পতাকা তুলে দেন ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়। মঞ্চে তখন ছিলেন মুকুল রায়ও।
এদিন বিজেপিতে যোগ দিয়ে অর্জুন বলেন, ‘পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের আকাশসীমায় ভারতীয় বায়ুসেনার বিমান হানার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে সব মন্তব্য করেছেন তাতে ব্যথিত হয়েছিলাম। তাই দলত্যাগের সিদ্ধান্ত নিই।’
অনুষ্ঠানে অর্জুনকে দলে স্বাগত জানান, বিজেপির পশ্চিমবঙ্গের পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়। তিনি বলেন, ‘অর্জুন সিং চার বারের বিধায়ক। তার প্রচুর অভিজ্ঞতা। তার বাবাও চার বার বিধায়ক ছিলেন। অর্জুনের পরিবার বহু বছর পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা। তার অভিজ্ঞতা আমাদের কাজে লাগবে।’
তবে রাজনৈতিক মহলের দাবি, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে দলের টিকিট না পেয়ে তৃণমূল ছেড়েছেন অর্জুন।
এদিকে অর্জুনের আগে আরও বেশ কয়েকজন তৃণমূল নেতা যোগ দিয়েছেন বিজেপিতে। সম্প্রতি তৃণমূলের দুই সাংসদ সৌমিত্র খাঁ এবং অনুপম হাজরাও যোগ দিয়েছেন বিজেপিতে। তবে এর আগেই তাদের দুজনকেই দল থেকে বহিষ্কার করেন মমতা। এ ছাড়া কংগ্রেস নেতা গৌতম ঘোষ থেকে শুরু করে সিপিএম বিধায়ক এবং তৃণমূলের আইনহজীবী নেতাও যোগ দিয়েছেন বিজেপিতে।
এদিকে মঙ্গলবার প্রার্থী ঘোষণার সময় মমতা বলেন, ‘অনেকে প্রার্থী হতে চেয়েছেন। আমি দিতে পারিনি। তারা অন্য দলে যেতেই পারেন। আমি বলছি, তৃণমূল ছাড়ার পর তারা বুঝবেন তাদের জীবন থেকে কী হারিয়েছে।’