১৬ দিনের আলোচনায়ও ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারেনি যুক্তরাষ্ট্র-তালেবান। কাতারের রাজধানী দোহায় তালেবানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ১৬ দিনের দীর্ঘ আলোচনা শেষ হয়েছে। বড় ধরনের কোনও ঐকমত্যে পৌঁছাতে না পারলেও দুপক্ষের আলোচনায় শান্তি প্রক্রিয়ার কাজ এগিয়েছে বলে জানা গেছে।
মঙ্গলবার দুপক্ষই আলাদাভাবে জানিয়েছে, আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের পর নিরাপত্তাসংক্রান্ত ইস্যুতে দুটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন তারা।
যুক্তরাষ্ট্রের আফগানবিষয়ক দূত জালমই খলিলজাদ জানান, দোহায় তালেবানদের সঙ্গে শান্তি আলোচনার ব্যাপক অগ্রগতি হয়েছে। এ বিষয়ে আমরা উভয়পক্ষই একমত হয়েছি যে, আফগান যুদ্ধ বন্ধ হওয়া উচিত।
অন্যদিকে তালেবানের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, উভয়পক্ষই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে সামনের বৈঠকগুলোর আলোচ্য বিষয় নির্ধারণ করবে।আফগানিস্তান থেকে সব বিদেশি সেনা প্রত্যাহারের ইস্যুতে আলোচনায় অগ্রগতি হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের পর দেশটির ভবিষ্যৎ নিরাপত্তার নিশ্চয়তা চেয়েছে।
তবে ১৬ দিন ধরে চলা শান্তি আলোচনায় লিখিত কোনো চুক্তি হইনি বলে কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানিয়েছে।
এক টুইটবার্তায় খলিলজাদ বলেন, শান্তি প্রতিষ্ঠায় চার ইস্যুতে চুক্তির প্রয়োজন: সন্ত্রাস দমনের নিশ্চয়তা, সেনা প্রত্যাহার, আফগানিস্তানের অভ্যন্তরীণ সংলাপ এবং বিস্তৃত একটি যুদ্ধবিরতি। জানুয়ারির আলোচনায় আমরা এই চারটি মৌলিক ইস্যুতে একমত হয়েছিলাম। এখন আমরা প্রথম দুটির খসড়ার বিষয়ে একমত হয়েছি।
টানা ১৭ বছরের আফগান যুদ্ধের ইতি টানতে দোহায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আফগানিস্তানে টেকসই শান্তির লক্ষ্যে কাতারের রাজধানী দোহায় তালেবানের সঙ্গে চলতি বছরের জানুয়ারিতে প্রথমবার আলোচনায় বসে যুক্তরাষ্ট্র ও তালেবান প্রতিনিধিরা। গত মাসে দোহায় শুরু হয় দ্বিতীয় দফার আলোচনা
২০০১ সালে মার্কিন দখলদারিত্বের আগ পর্যন্ত আফগানিস্তানে ৫ বছরের (১৯৯৬-২০০১) মতো ক্ষমতায় ছিল তালেবান। এরপর ক্ষমতাচ্যুত হলেও তালেবান যোদ্ধারা লড়াই চালিয়ে আসছিল। আফগানিস্তানের প্রায় অর্ধেক এলাকা নিয়ন্ত্রণ করে তালেবান। ২০০১ সালে যুক্তরাষ্ট্র ইরাক দখলের পর থেকে তারা এখন দেশটিতে সবচেয়ে শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে।