র্যালি, আলোচনাসভা, গণস্বাক্ষর সংগ্রহ কর্মসূচির মধ্য দিয়ে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালিত হয়েছে।
রবিবার (১০ মার্চ) সকালে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে একটি বর্ণাঢ্য বের হয়। র্যালি পরবর্তী উপজেলা পরিষদ চত্তরে জলবায়ু পরিষদের ব্যবস্থাপনায় দুর্যোগের আলোচনায় জলবায়ু পরিবর্তনজনিত দুর্যোগকে সংযুক্ত করার লক্ষ্য নিয়ে ‘জলবায়ু অর্থায়ন এবং দুর্যোগ প্রশমনে ন্যায্য ও স্বচ্ছ পরিকল্পনা’ দাবিতে এক গণ-স্বাক্ষর কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: কামরুজ্জামান, উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি সুজন সরকার, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো: সেলিম খান, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবুল হোসেন মিয়া, শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ হাবিল হোসেন, শ্যামনগর প্রেসক্লাব সভাপতি আকবর কবীর, সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ ফারুক হুসাইন সাগর, মোঃ বুড়িগোয়ালিনী ইউপি চেয়ারম্যান ভবতোষ মন্ডল, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা শাকির হোসেন,ওসিসি প্রণব কুমার,সাংবাদিকবৃন্দ,শিক্ষকবৃন্দ,ক্ষুদ্র-নৃগোষ্টি,জলবায়ু ভিকটিম প্রমুখ।
স্বাক্ষর কর্মসূচি শেষে সিএসআরএল শ্যামনগর কার্যালয়ে সাংবাদিক ও জলবায়ু পরিষদের সকল সদস্যবৃন্দের সমন্বয়ে একটি সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে জলবায়ু পরিষদের পক্ষ্যে একটি ধারনা পত্র উপস্থাপন করেন জলবায়ু পরিষদের সভাপতি মোঃ নাজিমুদ্দীন। ধারণাপত্রসহ সংবাদ সম্মেলনে তিনি জলবায়ু পরিবর্তন জনিত দুর্যোগ ঝুঁকি মোকাবেলার প্রস্তুতির জন্য কিছু প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেন।
প্রস্তাবনা গুলো হল, জলবায়ু পরিবর্তন জনিত দুর্যোগ ঝুঁকি মোকাবেলার প্রস্তুতিতে জলবায়ু অর্থায়নের মাধ্যমে স্বচ্ছ ও ন্যায্য পরিকল্পনা প্রণয়ন, ইউনিয়ন পর্যায়ে আগাম পূর্বাভাস চালু করা, ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র এবং সেখানে চলাচলের রাস্তা নারী শিশু ও প্রতিবন্ধী বান্ধব করা, ঘরে ঘরে নিরাপদ পানি ও শুকনো খাবারের সংরক্ষণের সঠিক বাবস্থা করা, বিশেষ প্রশিক্ষণের আয়োজন করা এবং সেখানে নারী শিশু ও প্রতিবন্ধীদের অগ্রাধিকার দেয়া।
মতবিনিময়কালে জলবায়ু পরিষদ সদস্যবৃন্দ বাঁধ ব্যবস্থাপনাসহ অন্যান্য কার্যক্রম তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জলবায়ু পরিষদের সদস্য সচিব আশেক-ই-এলাহী, সদস্য শেখ হারুন-অর-রশিদ, মাস্টার নজরুল ইসলাম, সম্পা গোষ্মামী, অর্চনা রানী, ডা: আলি আশরাফ, সিএসআর এল কর্মকর্তা সুপর্ণা কর্মকার, প্রেসক্লাবের কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ।