Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৫ সোমবার, আগষ্ট ২০২৫ | ১০ ভাদ্র ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

পরীক্ষার হলে থেকে ছাত্রীর লাইভ

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩ মার্চ ২০১৯, ১১:৫৫ AM
আপডেট: ০৩ মার্চ ২০১৯, ১১:৫৫ AM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁস ঠেকাতে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেন কর্তৃপক্ষ। কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে দিয়ে নেওয়া হয় পরীক্ষা। মোবাইল, ঘড়িসহ ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস ব্যবহারেও থাকে নিষেধাজ্ঞা। কিন্তু এতকিছু নিয়ম উপেক্ষা করে এবার এক ছাত্রী পরীক্ষা দিতে দিতেই নিজের মোবাইলে ফেসবুক লাইভ করলেন।

গত শনিবার(২ মার্চ) ভারতের পূর্ব বর্ধমানের কালনা কলেজ এ ঘটনা ঘটেছে।

ওই কলেজের তৃতীয় বর্ষের টেস্ট পরীক্ষা চলাকালে মোবাইলের পরদায় ভেসে উঠে উত্তরপত্র। দেখা যায়, আশপাশের বেঞ্চে পরীক্ষা দিচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। তারই মাঝে এক ছাত্রীকে এভাবে ‘ফেসবুক লাইভ’ করতে দেখে চমকে উঠেন অনেকে। ‘ফেসবুক লাইভ’ দেখে বাইরের কোনো ব্যক্তি ফোন করে বিষয়টি জানানোর পর টনক নড়ে কলেজ কর্তৃপক্ষের।

অভিযুক্ত ছাত্রীর শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদ (টিএমসিপি)। কীভাবে ওই ছাত্রী মোবাইল নিয়ে ঢুকলেন, কয়েক মিনিট ধরে ‘সোশ্যাল মিডিয়া’য় ভিডিও পাঠানো সত্ত্বেও কেন তা শিক্ষকের নজরে পড়ল না— সে প্রশ্ন উঠেছে।

এর প্রেক্ষিতে ওইদিনই (শনিবার) বিকেলে বৈঠকে বসে কলেজের পরিচালন সমিতি। কলেজের অধ্যক্ষ তাপস সামন্ত জানান, ওই ছাত্রী মোবাইল লুকিয়ে পরীক্ষার হলে ঢুকেছিলেন। তিনি ভুল স্বীকার করে মুচলেকা দিয়েছেন। তবে তাকে ফাইনাল পরীক্ষায় বসতে না দেওয়ার সুপারিশ করে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি পাঠানো হচ্ছে।

কলেজ সূত্রে জানা গেছে, দুপুর ১২টা থেকে পাস কোর্সের ‘অ্যাডুকেশন’ পরীক্ষা শুরু হয়। তার মিনিট পনেরো পরেই ওই ছাত্রী ‘ফেসবুক লাইভ’ শুরু করেন। তার বন্ধু-তালিকায় থাকা অনেকেই তাতে অবাক হয়ে যান। কেউ এ সব বন্ধ করে পরীক্ষা দেওয়ার পরামর্শ দেন, কেউ লেখেন, ‘এটাই দেখার বাকি ছিল’। এরই মধ্যে কেউ কলেজে ফোন করে বিষয়টি জানান।

ঘটনা চাউর হতেই অধ্যক্ষের কক্ষের সামনে বিক্ষোভ শুরু করেন টিএমসিপি সমর্থকেরা। তাদের বক্তব্য, পরীক্ষাকেন্দ্রে মোবাইল ঠেকাতে উচ্চ মাধ্যমিকে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে রাজ্য সরকার। কলেজের পরীক্ষায় নজরদারির অভাব থাকবে কেন, প্রশ্ন তোলেন তারা।

কলেজের ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক সুরজিৎ বিশ্বাস বলেন, ‘ওই ছাত্রীর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা না হলে, ভবিষ্যতে এমন ঘটনা আরও হতে পারে।’

বিকেলে পরিচালন সমিতির বৈঠক ডাকেন অধ্যক্ষ। কালনা থানার এক প্রতিনিধিও যোগ দেন। ছাত্রীর মা কলেজে গিয়ে মেয়ের পক্ষ থেকে ক্ষমা চান।

ওই ছাত্রী পরে বলেন, ‘মজা করতে গিয়ে এমন করে ফেলেছি। আর এই ভুল করব না।’

Bootstrap Image Preview