টানা দু’দিন হামলাও পাল্টা হামলার পর কাশ্মীরের আকাশসীমা এখন শান্ত। নিয়ন্ত্রণ রেখার দু’পাশে জারি করা হয়েছে সর্বোচ্চ সতর্কতা। কড়া প্রহরায় ভারত-পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনী।
আপাতত, পাক-ভারত দ্বন্দ্বের মোড় অন্যদিকে। পাকিস্তানে আটক ভারতীয় উইং কমান্ডার অভিনন্দনকে ফিরিয়ে আনতে তৎপর দিল্লি প্রশাসন।
এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার সকালে তিন বাহিনী প্রধানের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
ইসলামাবাদের প্রতি দ্রুত পাইলটকে মুক্তির আহ্বান জানিয়েছে নয়াদিল্লি।
দুই দেশের মধ্যে সংকটের কেন্দ্রবিন্দুতে চলে এসেছেন এই পাইলট ও ভারতীয় বিমানবাহিনী।
গতকাল পাকিস্তানি সেনাবাহিনী একটি ভিডিও প্রকাশ করে। যেখানে দেখা যায়, পাইলটের চোখ আর বাঁধা নেই। তিনি নিশ্চিন্ত মনে বসে চা পান করছেন এবং চা সরবরাহের জন্য পাক সেনাদের ধন্যবাদ দিয়েছেন।
অভিনন্দন বলছেন, পাকিস্তানি সেনাবাহিনী আমার সঙ্গে ভালো ব্যবহার করেছে। তারা পুরোপুরি ভদ্র মানুষ।
তবে এ ভিডিও বিষয়ে ভিন্নরকম বক্তব্য দিয়েছে ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
তারা অভিযোগ করছেন, একজন আহত বিমান কর্মকর্তাকে কুরুচিপূর্ণভাবে প্রকাশ করা হয়েছে।
তারাও আরও বলছেন, পাকিস্তান আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন ও জেনেভা কনভেনশন লঙ্ঘন করেছে।
এক বিবৃতিতে ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, পাকিস্তানকে সুপরামর্শ দেয়া হচ্ছে যে, যাতে ভারতের প্রতিরক্ষা কর্মকর্তার কোনো ক্ষতি না হয়, তা নিশ্চিত করা হয়। দ্রুতই তাকে নিরাপদে ফিরিয়ে দেয়ারও আহ্বান জানানো হয়েছে।
জবাবে অভিনন্দনের একটি ছবি পোস্ট করে পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র মেজর জেনারেল আসিফ গফুর এক টুইটার বার্তায় বলেন, সামরিক নীতি অনুসারে তার প্রতি আচরণ করা হচ্ছে।
টুইটারে পাকিস্তানিরা বলছেন, আতিথেয়তার দৃষ্টান্ত হিসেবে তাকে প্রদর্শন করা হচ্ছে।
এ পরিস্থিতিতে, দুই প্রতিবেশী দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে আলাদাভাবে ফোন করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও। সামরিক সংঘাত এড়ানোর পাশাপাশি সংলাপে বসার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।