Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১০ মঙ্গলবার, জুন ২০২৫ | ২৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

প্রিন্স মুসার বিরুদ্ধে প্রতিবেদন ৩১ মার্চ

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ১২:৫৫ PM
আপডেট: ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ১২:৫৫ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


বাংলাদেশের আলোচিত ব্যবসায়ী প্রিন্স মুসা বিন শমসেরের বিরুদ্ধে করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ৩১ মার্চ দিন ধার্য করেছেন আদালত।

শুল্ক ফাঁকি ও সুইস ব্যাংকে টাকা জমা রাখার অস্বচ্ছ হিসাব দাখিলের মামলায় আজ বুধবার (২৭ ফেব্রুয়ারি)  তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। তবে তদন্ত সংস্থা শুল্ক গোয়েন্দা প্রতিবেদন দাখিল না করায় ঢাকা মহানগর দেবদাস চন্দ্র অধিকারী এ নতুন দিন ধার্য করেন।

আদালতে গুলশান থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক রাকিবুল হাসান বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন।

প্রিন্স মুসা বিন শমসেরের বিরুদ্ধে শুল্কমুক্ত সুবিধায় আনা রেঞ্জ রোভার গাড়ি ভোলার বিআরটিএ’র (বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি) কতিপয় কর্মকর্তার যোগসাজশে ভুয়া কাগজ দিয়ে রেজিস্ট্রেশন এবং বেনামে অবৈধ আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে অর্থ পাচারের অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে শুল্ক গোয়েন্দারা। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, ১৭ লাখ টাকা শুল্ক পরিশোধ দেখিয়ে ভুয়া বিল অব এন্ট্রি প্রদর্শন করে গাড়িটি বেনামে রেজিস্ট্রেশন করা হয়।

শুল্ক গোয়েন্দাদের অনুসন্ধানে দেখা যায়, গাড়িতে ২ কোটি ১৭ লাখ টাকার শুল্ক করাদি জড়িত। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে প্রিন্স মুসা লিখিতভাবে জানান, ‘সুইস ব্যাংকে তার ৯৬ হাজার কোটি টাকা গচ্ছিত রয়েছে’। কিন্তু তিনি ওই টাকার কোনো ব্যাংক হিসাব বা বৈধ উৎস দেখাননি। কয়েকবার নোটিশ দিলেও তিনি তা জমা দেননি।

২০১৭ সালের ২১ মার্চ প্রিন্স মুসার গুলশানের বাড়িতে শুল্ক গোয়েন্দারা অভিযান চালিয়ে একটি রেঞ্জ রোভার গাড়ি জব্দ করে। পরে ঢাকা কাস্টমস হাউসে শুল্ক ফাঁকির অভিযোগে একটি মামলা করা হয়। একইসঙ্গে রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়ায় দুর্নীতির সংযোগ থাকায় তা পৃথকভাবে তদন্তের জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) মাধ্যমে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) অনুরোধ করা হয়।

ওই বছরেরই ৩১ জুলাই গুলশান থানায় মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে প্রিন্স মুসা বিন শমসেরের বিরুদ্ধে শুল্ক গোয়েন্দার সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা (এআরও) মো. জাকির হোসেন বাদী হয়ে মামলাটি করেন।

Bootstrap Image Preview