নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, শিশু রাসেলকে হত্যা একটি জঘন্য অপরাধ। জাতির পিতাসহ শিশু রাসেলের হত্যাকারীদের যারা আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়েছে, সাথে রেখেছে, তাদেরকে বাংলার মাটি থেকে নির্মূল করতে দৃঢ় শপথ নিতে হবে।
তিনি বলেন, এক শ্রেণীর মানবাধিকারকর্মী আছেন যারা মানবাধিকার ও গণতন্ত্রের কথা বলেন- কিন্তু তারা শিশু রাসেলের মতো জঘন্য হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে কোন কথা বলেন না। শিশু হত্যার প্রতিশোধে শপথ নিতে হবে। সাথে সাথে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
আজ জাতীয় যাদুঘর মিলনায়তনে শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদের ৩১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে পুরস্কার বিতরণ ও আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সংগঠনের মহাসচিব মাহমুদ-উস-সামাদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্রধান উপদেষ্টা তরফদার মোহাম্মদ রুহুল আমিন, রাজনৈতিক নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব:) মোহাম্মদ আলী শিকদার, সাংগঠনিক সচিব কে এম শহিদউল্যা, প্রচার সম্পাদক রাশেদুল হক এবং সহ দপ্তর সম্পাদক আসাদুল হক।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতার রুপকার। দেশ গঠনে বঙ্গবন্ধু পরিবারের অবদান অসামান্য। এ পরিবারে রয়েছে ক্রীড়া সংগঠক, সমাজসেবক ও রাজনৈতিককর্মী। ১৯৭৫ সালে রাতের অন্ধকারে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে দেশ থেকে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস মুছে ফেলার অপচেষ্টা চলছিল। কিন্তু তাদের সে অপচেষ্টা সফল হয়নি। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে সরকার কাজ করে যাচ্ছে।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে দেশের মেধা, শক্তি ও স্বপ্নকে হত্যা করা হয়েছে। দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ হচ্ছে। এক্ষেত্রে শেখ রাসেল জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদের সদস্যদের ভূমিকা রাখতে হবে। বিজ্ঞানভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে সকলকে কাজ করতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী পরে শিশু কিশোরদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।