Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৪ বুধবার, মে ২০২৫ | ৩১ বৈশাখ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

কৃষকদের ভোট কিনতে মোদির ‘কিষান প্রকল্প’

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ১০:১২ AM
আপডেট: ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ১০:১২ AM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


ভারতের লোকসভা নির্বাচনের আগে ভোটারদের মন পেতে বড় বড় প্রকল্পের সূচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এবার উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুর থেকে ৭৫ হাজার কোটি রুপির ‘প্রধানমন্ত্রী কিষান সম্মান নিধি’ প্রকল্প চালু করলেন তিনি।

রোববার দুপুরে গোরক্ষপুরের সভা থেকেই প্রথম কিস্তিবাবদ ২ হাজার রুপি করে ১২ কোটি কৃষকের অ্যাকাউন্টে জমা করে প্রকল্পের সূচনা করেন প্রধানমন্ত্রী। কৃষক নেতাদের অভিযোগ, কৃষকদের ভোট কিনে নিতেই এ প্রকল্প শুরু করা হয়েছে।

এনডিটিভি জানায়, ২০১৮ সালের ১ ডিসেম্বর অন্তর্বর্তী বাজেটে কিষান সম্মান নিধি প্রকল্পের ঘোষণা করা হয়েছিল। যে সমস্ত কৃষকের ২ হেক্টরের থেকে কম জমি, তাদের বছরে তিন দফায় ৬ হাজার রুপি দেয়া হবে। যার প্রথম কিস্তি আগামী ৩১ মার্চের মধ্যেই পাবেন কৃষকরা।

প্রকল্পটি নিয়ে প্রথম থেকেই উৎসাহিত প্রধানমন্ত্রী। টুইট করে শনিবার তিনি জানান, রোববার একটি ঐতিহাসিক দিন হতে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী কিষান সম্মান নিধি কৃষকদের সামনে নতুন দিগন্ত খুলে দেবে। তিনি বলেন, ক্ষমতায় আসার আগে এনডিএ বলেছিল কৃষকদের দাবিকে অগ্রাধিকার দেয়া হবে। সে কথা রাখা হল।

তাছাড়া প্রকল্পটি এত তাড়াতাড়ি যে দিনের আলো দেখছে সেটিও গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী। পূর্বসূরি সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘অতীতের সরকারের মতো এ প্রকল্প কাগজে-কলমে সীমাবন্ধ থাকবে না।’

বিরোধী দলগুলো বলছে, নির্বাচন সামনে বলেই প্রকল্পটির বাস্তবায়ন দ্রুত হয়েছে। দেশজুড়ে তৈরি হওয়া কৃষক অসন্তোষকে সামাল দিতে এ প্রকল্পের ঘোষণা করে কেন্দ্র।

অন্তর্বর্তী বাজেটে কৃষকদের জন্য এ প্রকল্পের কটাক্ষ করে রাহুল বলেছিলেন, প্রত্যেক পরিবার সদস্য পিছু দিনে ৩ রুপি করে দিয়ে কৃষকদের অপমান করেছেন প্রধানমন্ত্রী। পাল্টা রাহুলের সমালোচনা করে অরুন জেটলি জানিয়েছিলেন, ভবিষ্যতে প্রধানমন্ত্রী কিষান সম্মান নিধি প্রকল্পে কৃষকদের জন্য অর্থ বাড়ানো হতে পারে।

অনেক কৃষক আবার এই প্রকল্পে খুশি হতে পারেননি। কৃষক আন্দোলনের নেতাদের কেউ কেউ এনডিটিভিকে জানিয়েছেন, কৃষকদের উচিত মোদি সরকারকে শিক্ষা দেয়া। পাঞ্জাবের কৃষক নেতা নাসাত্তার সিং বলেন, ‘কৃষকদের ভোট কিনতেই এ প্রকল্প চালু করা হয়েছে।’

নির্বাচনের আগে সরকারি অর্থ ব্যয় নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিশ্লেষকরা। কয়েকজন সাবেক নির্বাচন কমিশনার জানিয়েছেন, আদর্শ নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন হওয়ার আগে নাম নথিভুক্ত হয়নি- এমন কাউকে টাকা দেয়া যাবে না।

২০০৯ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত দায়িত্বপালন করা মুখ্য নির্বাচন কমিশনার নবীন চাওলা বলেন, কোনো অবস্থাতেই নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন হওয়ার পর কাউকে টাকা দিতে পারবে না সরকার। একই কথা বলেছেন আরেক মুখ্য নির্বাচনী কমিশনার নাসিম জাইদি।

Bootstrap Image Preview