কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর স্বামী রবার্ট ভদ্র ব্যবসায়ী হিসেবেই সুপরিচিত। রোববার ফেসবুকে দেওয়া একটি পোস্ট তার রাজনীতিতে আসার ইঙ্গিত দিচ্ছে। সেখানে তিনি মানুষের পাশে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন।
প্রিয়াঙ্কা গান্ধী কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদক হিসেবে উত্তরপ্রদেশের পূর্বাংশে দায়িত্ব গ্রহণ করার একদিন পরেই রবার্ট ফেসবুকে এই ঘোষণা দিলেন।
যদিও রবার্টের বিরুদ্ধে টাকা পাচারের মামলা এখনও তদন্তের মধ্যে আছে। এছাড়া ক্ষমতাসীন দল বিজেপির নজরদারির মধ্যেও আছেন তিনি।
রবার্ট ফেসবুকে লিখেছেন, ‘রাজনীতিতে থেকে আমি মানুষের জন্য কাজ করতে চাইনি। কিন্তু যদি রাজনীতিতে যোগ দিয়ে তাদের জন্য বড় কিছু করা যায় তাহলে কেন যোগ দেব না? তবে আমি রাজনীতিতে যোগ দেব কিনা তা জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে।’
এর আগে রবার্ট ফেসবুকে লিখেছিলেন, ‘দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিশেষ করে উত্তর প্রদেশে অনেক বছর ধরে আমি প্রচারণার কাজ করছি। কাজ করার সময় আমার মনে হয়েছে মানুষের জন্য আমি আরও বেশি কিছু করতে পারি, কিছু পরিবর্তন আনতে পারি। ওই সময় মানুষের কাছ থেকে আমি অনেক ভালোবাসা, শ্রদ্ধা পেয়েছি।’
তিনি আরও লিখেছিলেন, ‘আমার এত বছরের কাজের অভিজ্ঞতা ও শিক্ষা ব্যর্থ হতে পারে না। এটা আমি আরও ভালোভাবে কাজে লাগাতে পারি।‘ ওই পোস্টে তার ওপর আরোপিত সব অভিযোগ যখন প্রত্যাহার হবে তখন মানুষের সেবায় তিনি আরো বেশি নিয়োজিত হতে পারবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
নিজের ওপর আরোপিত অভিযোগ প্রসঙ্গে রবার্ট লিখেছেন, ‘এক যুগেরও বেশি সময় ধরে বিভিন্ন সরকার আমার পেছনে লেগে আছে। তারা আমার নাম ব্যবহার করে দেশের প্রধান ইস্যু ভিন্ন দিকে ঘোরানোর চেষ্টা করছে।’
তিনি আরও লিখেছেন, ‘দেশের মানুষ ধীরে ধীরে বুঝতে পারছে আমার ওপর আরোপিত অভিযোগের কোনও সত্যতা নেই। অনেক মানুষের ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা আমি পেয়েছি। অনেকেই আমাকে সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য শুভ কামনা জানিয়েছেন।’
তদন্তকারীদের দাবি, প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে লন্ডনে ৯ ধরনের সম্পত্তি রয়েছে রবার্ট ভদ্রের, যার মূল্য প্রায় ১২ মিলিয়ন পাউন্ড। তাদের দাবি, ভারত থেকে অবৈধভাবে টাকা পাচারের মাধ্যমে তিনি এই সম্পত্তির মালিক হয়েছেন। যদিও রবার্ট তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অন্যায় ও রাজনৈতিক বলে উল্লেখ করেছেন। সূত্র: এনডিটিভি