Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৯ সোমবার, জুন ২০২৫ | ২৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

অবশেষে মরণোত্তর সম্মাননা পেলেন ভাষাসৈনিক শহীদ এমএ গফুর

পাইকগাছা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ২২ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ০৯:১৭ PM
আপডেট: ২২ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ০৯:১৭ PM

bdmorning Image Preview


অবশেষে মরণোত্তর সম্মাননা পেয়েছেন ভাষাসৈনিক শহীদ এমএ গফুর। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একান্ত সহোচর ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক সাবেক এমএনএ শহীদ এমএ গফুরকে মরণোত্তর এ সম্মাননা প্রদান করে ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে নতুন মাত্রা যোগ করেছেন পাইকগাছা উপজেলা নির্বাহী অফিসার জুলিয়া সুকায়না।

বৃহস্পতিার (২১ ফেব্রুয়ারি) উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে শহীদ এমএ গফুরের পরিবারের সদস্যদের নিকট এ সম্মাননা প্রদান করা হয়।

উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাডঃ স.ম বাবর আলী ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার জুলিয়া সুকায়না’র নিকট থেকে সম্মাননা গ্রহণ করেন এমএ গফুরের ছেলে আনোয়ার জাহিদ রবিন ও মেয়ে তামারা হক ছন্দা।

প্রসঙ্গত, এমএ গফুর ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনকে ঘিরে গঠিত খুলনা জেলা ভাষা আন্দোলন সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক ছিলেন। তার নেতৃত্বে বেগবান হয় খুলনার ভাষা আন্দোলন। তিনি ১৯৭০ সালে পাইকগাছা-আশাশুনি নির্বাচনী এলাকা থেকে এম.এন.এ নির্বাচিত হন।

১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে ৯নং সেক্টরের অন্যতম সংগঠকও ছিলেন। তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একান্ত সহোচর ছিলেন। ১৯৭২ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে থেকে পাইকগাছার ওয়াপদার ভেঁড়ি বাঁধ নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করার মাধ্যমে সুখী-সমৃদ্ধিশালী সোনার বাংলা বির্নিমাণ কাজের শুভ সূচনা করেন। তিনি ১৯৭২ সালের ৬ জুন আততীয়দের গুলিতে নিহত হন।

দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও ভাষা সৈনিক শহীদ এমএ গফুরকে মরণোত্তর সম্মাননা প্রদান করায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার জুলিয়া সুকায়না ও উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাডঃ স.ম. বাবর আলী এবং বর্তমান সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন শহীদ এমএ গফুরের পরিবারের সদস্যরা।

Bootstrap Image Preview