Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৮ রবিবার, জুন ২০২৫ | ২৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

চকবাজারের অগ্নিকাণ্ডে হতাহতের ঘটনায় পরিকল্পনামন্ত্রীর শোক ও দু:খ প্রকাশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২১ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ০৬:৫৩ PM
আপডেট: ২১ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ০৬:৫৩ PM

bdmorning Image Preview


রাজধানীর চকবাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক ও দু:খ প্রকাশ করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।

পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র ইনফরমেশন অফিসার মো. শাহেদুর রহমান কর্তৃক গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানা যায়।

মন্ত্রী নিহতদের আত্মার মাগফিরাত করেন ও তাদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জানান এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত উদ্ধারকারী কর্তৃপক্ষ ও ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ৭০ জনের লাশ উদ্ধারের তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। তবে বিভিন্ন স্থান থেকে আরও ১১ লাশ পাওয়া গেছে।

বৃহস্পতিবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে গিয়ে দেখা যায়, শুধু লাশ আর লাশ। সারি বেঁধে লাশগুলো রাখা হয়েছে বারান্দায়। দেখে মনে হচ্ছে লাশ রাখার ঠাঁই হচ্ছে না হাসপাতালে।

বেশিরভাগ নিহতের শরীর পুড়ে অঙ্গার হয়ে গেছে। চেহারা বোঝা মুশকিল। ডিএনএ টেস্ট ছাড়া লাশ শনাক্ত করা মুশকিল হয়ে পড়বে।

চকবাজারের দায়িত্বরত ফায়ার সার্ভিসের তদারকি দলের প্রধান মেজর শাকিল নওয়াজের বরাত দিয়ে ফায়ার সার্ভিস সদর দফতরের ডিউটি অফিসার মিজানুর রহমান বৃহস্পতিবার দুপুরে টেলিফোনে একটি গণমাধ্যমকে জানান, এখন পর্যন্ত ৭০ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আহত ৪১ জনকে উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে অনেকেই গুরুতর।

ময়নাতদন্তের পর শনাক্তকরণের ভিত্তিতে লাশগুলো তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢামেক ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক সোহেল মাহমুদ।

এদিকে অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধদের মধ্যে ৯ জনকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। এদের প্রাণও যায় যায় অবস্থা।

এই ৯ জনের মধ্যে আটজনকে পোস্ট অপারেটিভ ওয়ার্ডে এবং একজনকে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়েছে।

এই ৯ জনের সবাই গুরুতর দগ্ধ। তাদের সবার শ্বাসনালী পুড়ে গেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢামেক বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক ইউনিটের প্রধান সমন্বয়কারী সামন্ত লাল সেন।

আইসিইউতে ভর্তি থাকা সোহাগের শরীরের ৬০ শতাংশ পুড়ে গেছে। আর পোস্ট অপারেটিভে ভর্তি আটজনের মধ্যে রেজাউল করিমের শরীরের ৫৭ শতাংশ পুড়ে গেছে। জাকির হোসেনের ৩৮ শতাংশ, মুজাফফর আহমদের ৩০ শতাংশ, আনোয়ার হোসেনের ২৮ শতাংশ, হেলাল উদ্দিনের ১৬ শতাংশ, সেলিমের ১৪ শতাংশ, মাহমুদের ১৩ শতাংশ এবং সালাউদ্দিনের ১০ শতাংশ পুড়ে গেছে।

বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক ইউনিটের প্রধান সমন্বয়কারী সামন্ত লাল সেন জানান, ভর্তি ৯ জনের মধ্যে কারও অবস্থাই ভালো নয়। প্রায় সবারই শ্বাসনালী পুড়ে গেছে।

সব মিলিয়ে নিহতদের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

Bootstrap Image Preview