পুরান ঢাকার চকবাজারে বহুতল ভবনে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৭৮ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ পর্যন্ত ৭০ জনের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
ঢামেকের বার্ন ইউনিটে ভর্তি রয়েছে ৯ জন।চকবাজারে অগ্নিকাণ্ডের আগে দোকান বন্ধ করে বাসায় ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তিন ভাই অপু, আলী ও ইদ্রিস। ছোট ভাই ইদ্রিস দোকানের চাবি বড় ভাইদের বুঝিয়ে দিয়ে বেরিয়ে যান। দোকানের পাশেই খেলছিল অপুর (৩২) তিন বছরের ছেলে আরাফাত। বিস্ফোরণ অপু-আলী- আরাফাত তিনজনই মারা গেছে। মরদেহ শনাক্ত করেছেন ছোট ভাই ইদ্রিস।
নিহত দুই ভাই অপু ও আলীর মরদেহ আলাদা করতে পারেননি উদ্ধারকারী সদস্যরা। তারা দু'জন একে অপরকে জড়িয়ে ছিলেন। এ অবস্থায়ই তাদের করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
হাসপাতালে পাঠানোর পর দেখা যায়, দুই ভাইয়ের মরদেহের মাঝে রয়েছে শিশু আরাফাতের মরদেহ।
আগুনের হাত থেকে বাঁচানোর জন্যই হয়তো দুই ভাই আরাফাতকে মাঝে রেখে একে অপরকে জড়িয়ে রেখেছিলেন বলে ধারণা করছেন ঢাকা মেডিকেলের চিকিৎসক ও উদ্ধারকারী ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা।
এর আগে বুধবার রাত পৌনে ১১টার দিকে চুড়িহাট্টা শাহী মসজিদের পেছনের একটি ভবন থেকে আগুনের সূত্রপাত বলে স্থানীয়রা জানান। পরে তা পাশের ভবনগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। সর্বশেষ রাত ৩টার দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন ফায়ার সার্ভিসের প্রায় ২০০ কর্মী।