Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৮ রবিবার, জুন ২০২৫ | ২৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

গোপনে জামিন চেয়েও পার পেলেন না বদির ৪ ভাইসহ স্বজনরা

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২০ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ০৯:৩৯ AM
আপডেট: ২০ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ০৯:৩৯ AM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


আত্মসমর্পণকারী ইয়াবা ব্যবসায়ীদের মাঝে আলোচিত সাবেক এমপি আব্দুর রহমান বদির ১০ স্বজনকে কারাগারে রেখেই অতিগোপনে চাওয়া জামিন আবেদন নাকচ করে দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার কক্সবাজারের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক জেরিন সুলতানার আদালতে তারা জামিনের আবেদন জানালে শুনানি শেষে বিচারক তা নাকচ করে দেন।

আসামিদের কারাগারে রেখেই অতিগোপনে চাওয়া জামিন আবেদনের খবরটি চেপে রাখা হলেও মঙ্গলবার রাতে তা প্রচার হয়। আদালত পুলিশের পরিদর্শক মো. দিদারুল আলম এসব তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

আদালতে জামিন আবেদনকারী ১০ ইয়াবা কারবারি হলেন- আব্দুর রহমান বদির ভাই আব্দুস শুক্কুর, আমিনুর রহমান ওরফে আব্দুল আমিন, শফিকুল ইসলাম প্রকাশ শফিক, ফয়সাল রহমান, ফুফাত ভাই কামরুল হাসান রাসেল, ভাগনে সাহেদ রহমান নিপু, চাচাত ভাই মো. আলম, খালাত ভাই মং অং থেইন ওরফে মমচি, বদির ভাই আব্দুল শুক্কুরের ব্যবস্থাপক মারুফ বিন খলিল ওরফে বাবু ও মোজাম্মেল হক।

আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন- অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ, মো. মোস্তফা, সাইদুল ইসলাম ও মো. রফিক উদ্দিন চৌধুরী।

সিনিয়র আইনজীবী আবুল কালাম আজাদ শুনানিকালে বলেন, আমার মক্কেলরা কেউ ২০ দিন, কেউ এক মাস আগে পুলিশি হেফাজতে আসেন। কিন্তু তাদের নামে করা মামলায় দেখানো হয়েছে তাদেরকে অস্ত্র ও ইয়াবাসহ মেরিন ড্রাইভ থেকে আটক করা হলো।

তাদের দাবি, আত্মসমর্পণের জন্য মাসযাবত পুলিশি হেফাজতে থাকা অবস্থায় তাদের কাছে ইয়াবা ও অস্ত্র কীভাবে এলো?

আদালত সূত্র জানায়, কারাগারে থাকা আত্মসমর্পণকারী ১০২ ইয়াবা কারবারির মাঝে বদির ভাই আব্দুস শুক্কুরসহ ১০ আসামি জামিনের আবেদন করেন সোমবার। আদালত শুনানির দিন ধার্য করেছিলেন মঙ্গলবার। কক্সবাজারের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জেরিন সুলতানার আদালতে জামিনের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। রাষ্ট্রপক্ষ তাদের জামিনের বিরোধিতা করেন। শুনানি শেষে বিচারক জেরিন সুলতানা আসামিদের জামিন আবেদন নাকচ করে দেন। জামিন শুনানিকালে আসামিদের আদালতে হাজির করা হয়নি।

কক্সবাজার জেলা আদালতের পুলিশ পরিদর্শক মো. দিদারুল ইসলাম বলেন, আত্মসমর্পণকারী ১০ জন ইয়াবা কারবারি জামিনের আবেদন করেছিলেন। কিন্তু তাদের আবেদন নাকচ করে দেন আদালত।

উল্লেখ্য, গত ১৬ ফেব্রুয়ারি কক্সবাজারের টেকনাফ পাইলট হাইস্কুল মাঠে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও পুলিশ মহাপরিদর্শকের (আইজিপি) কাছে অস্ত্র ও ইয়াবা জমা দিয়ে আত্মসমর্পণ করেন ১০২ ইয়াবা কারবারি। পরে ইয়াবা ও অস্ত্র আইনে দায়ের হওয়া পৃথক দুটি মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আইজিপি এ দুটি মামলায় আসামিদের আইনি সহায়তা দেয়ার ইঙ্গিত দেন। এর একদিনের মাথায় বদির স্বজনরা জামিনের আবেদন করেন এবং আদালত কর্তৃক প্রত্যাখ্যাত হন।

Bootstrap Image Preview