Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৮ রবিবার, জুন ২০২৫ | ২৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ | ঢাকা, ২৫ °সে

বিশ্ব ব্যাংকের সহায়তায় নৌপথ ও স্থলবন্দরগুলো আরো বেশি গতিশীল হবে: নৌ-প্রতিমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ০৩:৪৩ PM
আপডেট: ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ০৩:৪৩ PM

bdmorning Image Preview


নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থার আরো উন্নয়ন এবং নৌ ও স্থলপথে আঞ্চলিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে রিজিওনাল কানেক্টিভিটি প্রজেক্টগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এক্ষেত্রে বিশ্বব্যাংকের সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রয়োজন।

নৌ ও সড়ক পথে আঞ্চলিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে অতীতে দৃষ্টি দেয়া হয়নি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার আঞ্চলিক যোগাযোগের উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করছে।

তিনি আজ নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘বাংলাদেশ রিজিওনাল ওয়াটারওয়ে ট্রান্সপোর্ট প্রকল্প-১’ এবং ‘বাংলাদেশ রিজিওনাল কানেক্টিভিটি প্রকল্প-১’ নিয়ে বিশ্ব ব্যাংকের কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠকে এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশস্থ বিশ্বব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর রোবার্ট জে সান প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন।

প্রতিনিধিদলের অন্য সদস্যরা হলেন প্রাকটিস ম্যানেজার সোমিক রাজ মেহেনদিরাত্তা, প্রোগ্রাম লিডার সঞ্জয় শ্রীভাসতাভা, লীড ট্রান্সপোর্ট ইকোনমিস্ট রিচার্ড মার্টিন হামফ্রিজ, সিনিয়র ট্রান্সপোর্ট স্পেশালিস্ট রাজেশ রোহাতগি এবং প্রোগ্রাম কোঅর্ডিনেটর দিলশাদ এস দোসানি।

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আঞ্চলিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে নৌপথের উন্নয়ন অনস্বীকার্য।

তিনি আশা করেন, নৌপথের খনন ও স্থল বন্দরগুলোর উন্নয়নে বিশ্বব্যাংক সবসময় সরকারের পাশে থাকবে। তিনি বলেন, দীর্ঘদিনের অযত্ন ও অবহেলায় হারিয়ে যাওয়া নৌপথ উদ্ধারে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। নিজস্ব অর্থায়নে সরকার অনেক মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করলেও বিশ্ব ব্যাংকের সহায়তায় নৌপথ ও স্থলবন্দরগুলো আরো বেশি গতিশীল হবে।

উল্লেখ্য, যাত্রী এবং মালামাল সহজে ও নিরাপদে পরিবহনের লক্ষ্যে চট্টগ্রাম-ঢাকা-আশুগঞ্জ নৌপথের  জন্য  নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের আওতাধিন বিআইডব্লিউটিএ বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় ‘বাংলাদেশ রিজিওনাল ওয়াটারওয়ে ট্রান্সপোর্ট প্রকল্পটি’ বাস্তবায়ন করবে। ২০২৫ সাল নাগাদ সমাপ্ত এ প্রকল্পে প্রায় তিন হাজার ২শত কোটি টাকা ব্যয় হবে। উক্ত পথে সংরক্ষণ ড্রেজিং এর পাশাপাশি, ৬টি জাহাজ শেল্টার নির্মাণ, ৪টি প্যাসেঞ্জার ও দু’টি কার্গো টার্মিনাল নির্মাণ ও উন্নয়ন, ১৪টি লঞ্চঘাট নির্মাণ ও দু’টি মাল্টিপারপাস ভেসেল সংগ্রহ এ প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে।

বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের আওতাধিন বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ ৬৯৩ কোটি টাকা ব্যয়ে সিলেটের শ্যাওলা, সাতক্ষীরার ভোমরা, খাগড়াছড়ির রামগড় স্থলবন্দরের উন্নয়ন এবং যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরের নিরাপত্তা সিস্টেমের আপ-গ্রেডেশনের ‘বাংলাদেশ রিজিওনাল কানেক্টিভিটি’ শীর্ষক প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে।

বৈঠকে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ভোলা নাথ দে, বাংলাদেশ স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান তপন কুমার চক্রবর্তী, বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমোডর এম মোজাম্মেল হক, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের যুগ্মসচিব আবদুল বাকী, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-প্রধান রফিক আহমেদ সিদ্দিকী এবং প্রকল্প পরিচালক সেলিম হাসান উপস্থিত ছিলেন।

Bootstrap Image Preview